দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভারতের মদদে একতরফা নির্বাচন করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিচ্ছে। মেহেরপুরের এক প্রার্থী বলেছেন, তিনি ভারতের প্রার্থী। তিনি হারতে আসেননি। এতে কিছুটা হলেও স্পষ্ট যে এই নির্বাচনে ভারতের কতটা প্রভাব রয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুরানা পল্টন মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপির কর্মকর্তারা কাউন্সিলরদের সঙ্গে মিটিং করেছেন কিভাবে ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়া যায়। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা তো ডিএমপির কাজ না। গণমাধ্যমে এসেছে, ওয়ারী জোনের ডিবির ডিসি এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে তার স্ত্রীকে দিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক লিখিয়ে নিয়েছে।
এভাবে কতিপয় অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা বিরোধী নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীদের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে, রিমান্ডে নিয়ে টাকা আদায় করছে। টাকা না পেয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করছে, নখ তুলে ফেলছে, বিদ্যুৎ শক দিচ্ছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কালো আইন করে সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে পারেনি।
জনগণের আন্দোলন বন্ধ করার এখতিয়ার কাউকে দেওয়া হয়নি। সংবিধান মোতাবেক আমাদের ভোট বর্জনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপির পক্ষ থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, যাতে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ে। কিন্তু এটি কি ডিএমপির কাজ? আজকে পুলিশের কী কাজ, নির্বাচন কমিশনের কী কাজ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কার কী কাজ, কেউ বুঝে উঠতে পারছে না। সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে একটাই দায়িত্ব নিয়েছে, সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনা।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।