ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আরো ৮০ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া Logo দুর্যোগের পরই উঠে আসে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রশ্ন, কিন্তু উত্তর আসে না Logo গাজাবাসীর প্রতি বিশ্বের নীরবতা, তীব্র নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের Logo ঢাকায় ঢাকাউস-এর আয়োজনে কাউনিয়াবাসীর মিলনমেলা Logo ফেসবুকে প্রেমের পর বিয়ে, দেড় মাস সংসার করে বুঝলেন নববধূ ‘পুরুষ’ Logo নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হলেই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে: ড. ইউনূস Logo ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)’–এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু Logo জুলাই আন্দোলনের ‘মূলনায়ক’ তারেক রহমান: আমীর খসরু Logo এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপে, খেলার সময়সূচি জানুন Logo গাজায় শিশুদের অনাহারে হত্যা করা হচ্ছে

যশোরে প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ককটেল হামলা

যশোরে হরতালের আগের রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে অন্তত পাঁচ দফায় একইভাবে বাড়িটিতে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।

গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাড়িতে একে একে অন্তত ১৫টি ককটেল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পাশের বাড়ি তরিকুল ইসলামের ভাই মরহুম সিরাজুল ইসলামের বাড়িতেও একই সময় ককটেল হামলা চালানো হয়।

তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। অনিন্দ্য ইসলামের মা নার্গিস বেগম যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। হামলার সময় অনিন্দ্য ইসলাম বাড়িতে না থাকলেও নার্গিস বেগম ছিলেন। পাশের মরহুম সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ছিলেন তাঁর ৮০ বছর বয়সী স্ত্রী জাহানারা বেগম।

ককটেল হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে যশোর প্রেসক্লাব থেকেও সাংবাদিকেরা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।

বিএনপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১১টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ পিলু খান সড়কে তরিকুল ইসলামের বাসভবনে একের পর এক ককটেল ছোড়া হয়। হামলাকারী ব্যক্তিরা পাশে অনিন্দ্য ইসলামের চাচার বাড়িতেও ককটেল নিক্ষেপ করে। বাড়ির প্রধান ফটক ও ভেতরে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বিদ্যুতের তারে ককটেল লেগে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একাধিক ককটেলের লাগাতার বিস্ফোরণে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের এ হামলায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা মহল্লা।

ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, সাত থেকে আটজনের একটি দল এই হামলায় অংশ নেয়। তাদের কারও কারও মাথায় হেলমেট পরা ছিল। অনিন্দ্য ইসলামের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তারা একের পর এক ককটেল ছোড়ে।

বিএনপির নেতা অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, বিএনপি বড় কোনো কর্মসূচির আগে প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়া আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, এবারও সেই ধারাবাহিকতায় এ হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে অন্তত পাঁচবার এমন বোমা হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাতে অনেক শব্দ শুনেছি। তবে কয়েক দিন ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় শহরে বাজি ফোটানো হচ্ছে। আমরা ভেবেছি, সেই পূজার বাজি ফুটছে। এ বিষয়ে টহল দল এখনো কোনো তথ্য জানায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আরো ৮০ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

যশোরে প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ককটেল হামলা

আপডেট সময় ১২:২০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

যশোরে হরতালের আগের রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে অন্তত পাঁচ দফায় একইভাবে বাড়িটিতে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।

গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাড়িতে একে একে অন্তত ১৫টি ককটেল ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পাশের বাড়ি তরিকুল ইসলামের ভাই মরহুম সিরাজুল ইসলামের বাড়িতেও একই সময় ককটেল হামলা চালানো হয়।

তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। অনিন্দ্য ইসলামের মা নার্গিস বেগম যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। হামলার সময় অনিন্দ্য ইসলাম বাড়িতে না থাকলেও নার্গিস বেগম ছিলেন। পাশের মরহুম সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ছিলেন তাঁর ৮০ বছর বয়সী স্ত্রী জাহানারা বেগম।

ককটেল হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে যশোর প্রেসক্লাব থেকেও সাংবাদিকেরা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।

বিএনপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১১টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ পিলু খান সড়কে তরিকুল ইসলামের বাসভবনে একের পর এক ককটেল ছোড়া হয়। হামলাকারী ব্যক্তিরা পাশে অনিন্দ্য ইসলামের চাচার বাড়িতেও ককটেল নিক্ষেপ করে। বাড়ির প্রধান ফটক ও ভেতরে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বিদ্যুতের তারে ককটেল লেগে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একাধিক ককটেলের লাগাতার বিস্ফোরণে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের এ হামলায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা মহল্লা।

ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, সাত থেকে আটজনের একটি দল এই হামলায় অংশ নেয়। তাদের কারও কারও মাথায় হেলমেট পরা ছিল। অনিন্দ্য ইসলামের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তারা একের পর এক ককটেল ছোড়ে।

বিএনপির নেতা অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, বিএনপি বড় কোনো কর্মসূচির আগে প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়া আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, এবারও সেই ধারাবাহিকতায় এ হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে অন্তত পাঁচবার এমন বোমা হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাতে অনেক শব্দ শুনেছি। তবে কয়েক দিন ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজায় শহরে বাজি ফোটানো হচ্ছে। আমরা ভেবেছি, সেই পূজার বাজি ফুটছে। এ বিষয়ে টহল দল এখনো কোনো তথ্য জানায়নি।