ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পা রাখবেন না: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যেতে আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।

এ ছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি।

তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন। আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা।

আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পা রাখবেন না: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

আপডেট সময় ১০:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যেতে আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।

এ ছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি।

তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন। আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা।

আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।