বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দা আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সকল ইতিবাচক সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে জামায়াত। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, কিভাবে ওনারা (সরকার) বিভিন্ন দল ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলাদাভাবে আলোচনা করবেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগকে জামায়াত স্বাগত জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সকল ইতিবাচক (পজিটিভ) সিদ্ধান্তে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন জানাবে। এই সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার পরে যথা শীঘ্র সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, আজকের মূলত ছিল জিস্ট অব দ্য ডিসকাসন (আলোচনার সূচনা বা সারমর্ম)। বিস্তারিত বিষয়ে ওনারা (ঐক্যমত সংস্কার কমিশন) আমাদেরকে বই দেবেন। সেটা পর্যালোচনা করে জামায়াতে ইসলামী ও সরকারের যে টিম আছে তাদের সাথে আলাদা করে বৈঠক ও মতবিনিময় হবে। সেখানে আমরা আমাদের মূল সিদ্ধান্ত ও আলোচনা জানাব।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে তাহের বলেন, আমরা বলেছি, যে সংস্কার প্রয়োজন, এজন্য সংস্কারটি করতে আমরা ঐকমত্য হই। তারপরে যথা শীঘ্র সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা তো বলেছেন ডিসেম্বরের কথা আমরা সেটা দেখছি- সেটা কি হয়।
ডা. তাহেরর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে ছিলেন, দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।