হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে ভ্যাট কমিয়ে আগের মতো করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বা আগামী রোববার আদেশ জারি করবে এনবিআর।এছাড়া ওষুধ ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ব্যবসায় ভ্যাটের হার কমতে পারে।
গত ৯ জানুয়ারি ফল, বিস্কুটসহ শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেবায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। আগে ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। এই খাতে তিনগুণ ভ্যাট বাড়ায় এনবিআর। মিষ্টান্ন ভান্ডারে মিষ্টি ও মিষ্টিজাত পণ্যে ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
এছাড়া ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। এই সেবায় আগে কোনো সম্পূরক শুল্ক ছিল না। অন্যদিকে ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।
হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধেরও হুমকি দেয় তারা। বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার এনবিআর ভবনের সামনে বিশাল মানববন্ধনও করে তারা।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেস্তোরাঁসহ তিন খাতের প্রতিনিধিরা তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আমাদের চিঠি পাঠিয়েছেন। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এসব খাতের আরোপিত বা বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের ভ্যাট পলিসি বিভাগের প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমানের সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিতে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের ভ্যাট হার পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ওষুধ খাতের উদ্যোক্তারাও এই ভ্যাট কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি পাঠিয়েছে। ওষুধ খাতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতি।