ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিয়া ও সুন্নির ৮ দিনে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে নিহত ১০৭

পাকিস্তানের ৮ দিনে শিয়া ও সুন্নির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে নিহত ১০৭

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় টানা আট দিন ধরে চলছে শিয়া ও সুন্নি গোত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

এক দিন আগেই গোত্রপ্রধানরা ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতিতে সম্মতি দেন। তা সত্ত্বেও নতুন করে সংঘাত দেখা দেয়। এতে আরও পাঁচ জন নিহত ও নয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কুররাম কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ থেকে কুররামে সংঘাতে লিপ্ত গোত্রদের মধ্যে ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চালু হয়েছে।’

এই জেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে (মূলত শিয়া ও সুন্নি) সংঘাতে অন্তত ১০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২১ নভেম্বর সুন্নিদের বহনকারী গাড়িবহরে বন্দুকহামলায় ৫২ জন নিহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী ৫-৬ দিনে দুই পক্ষের সংঘাতে আরও ৫৫ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সহিংসতার জেরে পারাচিনার-পেশোয়ার সড়ক আট দিন ধরে বন্ধ আছে।

কুররামের উপকমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানান, মূল মহাসড়কটি বন্ধ থাকায় খারলাচি সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

এ অঞ্চলে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা স্থগিত রাখায় সার্বিকভাবে বাসিন্দারা নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

মেহসুদ আশ্বাস দেন, কর্তৃপক্ষ সংঘাত বন্ধ ও সংঘর্ষ-বিরতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘হানগু, ওরাজকাই ও কোহাত থেকে জ্যেষ্ঠ নেতারা পারাচিনার আসছেন। সেখানে তারা জিগরায় যোগ দেবেন। সবাই সংঘর্ষ-বিরতিতে রাজি হয়েছেন। এখন এটি পূর্ণ মাত্রায় বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুইটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার জেরে নতুন করে এ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার

শিয়া ও সুন্নির ৮ দিনে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে নিহত ১০৭

আপডেট সময় ০৭:২৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় টানা আট দিন ধরে চলছে শিয়া ও সুন্নি গোত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

এক দিন আগেই গোত্রপ্রধানরা ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতিতে সম্মতি দেন। তা সত্ত্বেও নতুন করে সংঘাত দেখা দেয়। এতে আরও পাঁচ জন নিহত ও নয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কুররাম কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ থেকে কুররামে সংঘাতে লিপ্ত গোত্রদের মধ্যে ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চালু হয়েছে।’

এই জেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে (মূলত শিয়া ও সুন্নি) সংঘাতে অন্তত ১০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২১ নভেম্বর সুন্নিদের বহনকারী গাড়িবহরে বন্দুকহামলায় ৫২ জন নিহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী ৫-৬ দিনে দুই পক্ষের সংঘাতে আরও ৫৫ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সহিংসতার জেরে পারাচিনার-পেশোয়ার সড়ক আট দিন ধরে বন্ধ আছে।

কুররামের উপকমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানান, মূল মহাসড়কটি বন্ধ থাকায় খারলাচি সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

এ অঞ্চলে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা স্থগিত রাখায় সার্বিকভাবে বাসিন্দারা নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

মেহসুদ আশ্বাস দেন, কর্তৃপক্ষ সংঘাত বন্ধ ও সংঘর্ষ-বিরতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘হানগু, ওরাজকাই ও কোহাত থেকে জ্যেষ্ঠ নেতারা পারাচিনার আসছেন। সেখানে তারা জিগরায় যোগ দেবেন। সবাই সংঘর্ষ-বিরতিতে রাজি হয়েছেন। এখন এটি পূর্ণ মাত্রায় বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুইটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার জেরে নতুন করে এ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।