ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাটপার’ স্লোগানটি নাহিদের উদ্দেশে দেননি শিক্ষার্থীরা

‘বাটপার’ স্লোগানটি নাহিদের উদ্দেশে দেননি শিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি সচিবালয়ের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে একটি স্লোগান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা। একটি মহল প্রচার করছে, স্লোগানটি তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ করে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্লোগানটি উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব হাসান আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা নাহিদের সামনে ‘সব …রা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ শীর্ষক স্লোগান দেন।

আন্দোলনের সময় দেওয়া স্লোগানের বিষয়ে স্পষ্ট করে সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হাসান বলেন, ‘স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি।

প্রকল্পের মেয়েদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি বরং তারা নিজেদের পকেট ভারীসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি। সাবেক স্বৈরাচার সরকারের পেতাত্মারা স্লোগানটির অপপ্রচার করছে এবং এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা মগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন রাকিব।

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারী কিছু দালালরাই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের সামনে আবাসন সংকট সমাধানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করেন। সেখানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওই স্লোগানটিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।

এদিকে সেই ভিডিও ছড়ানোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে প্রচারণা দেখা গেছে। হ্যাশট্যাগে শিক্ষার্থীদের ‘উই আর নাহিদ’ পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘বাটপার’ স্লোগানটি নাহিদের উদ্দেশে দেননি শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৭:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি সচিবালয়ের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে একটি স্লোগান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা। একটি মহল প্রচার করছে, স্লোগানটি তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ করে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্লোগানটি উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব হাসান আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা নাহিদের সামনে ‘সব …রা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ শীর্ষক স্লোগান দেন।

আন্দোলনের সময় দেওয়া স্লোগানের বিষয়ে স্পষ্ট করে সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হাসান বলেন, ‘স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি।

প্রকল্পের মেয়েদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি বরং তারা নিজেদের পকেট ভারীসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি। সাবেক স্বৈরাচার সরকারের পেতাত্মারা স্লোগানটির অপপ্রচার করছে এবং এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা মগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন রাকিব।

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারী কিছু দালালরাই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের সামনে আবাসন সংকট সমাধানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করেন। সেখানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওই স্লোগানটিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে।

এদিকে সেই ভিডিও ছড়ানোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে প্রচারণা দেখা গেছে। হ্যাশট্যাগে শিক্ষার্থীদের ‘উই আর নাহিদ’ পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে।