ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শুধু পুলিশ নয়, সব ক্যাডারেই ছাত্রলীগ

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • 31

আজকেরর প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

ইনকিলাব:

শুধু পুলিশ নয়, সব ক্যাডারেই ছাত্রলীগ
৪০তম বিসিএসে ৭১ জন সহকারী পুলিশ সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ জনই ছাত্রলীগের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এই বিসিএসে কেবল পুলিশ ক্যাডারের সহকারী পুলিশ সুপার পদই নয়, সহকারী কমিশনার (প্রশাসন), সহকারী পরিচালক (আনসার), সহকারী মহা-হিসাবরক্ষক, সহকারী নিবন্ধক (সমবায়), সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি), সহকারী সচিব (পররাষ্ট্র বিষয়ক), সহকারী কমিশনার (কর) সহ প্রায় সবকটি ক্যাডারেই বেছে বেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এদের বাইরে মেধার জোরে ভাগ্যক্রমে কেউ নিয়োগের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে শেষ পর্যন্ত তাদের অনেককেই আটকে দেয়া হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ট্যাগ দিয়ে। পুলিশের ইস্যুটি সামনে আসার পর এখন ভুক্তভোগীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই নিয়োগের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে তাদের লাঠিয়াল বাহিনীকে নিয়োগ দেয়ায় ৪০তম বিসিএস বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ৪ ডিসেম্বর যোগদান করতে বলা হয়। এতে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। এই সময়ে কেউ চাকরিতে বহাল থাকার অনুপোযোগী বিবেচিত হলে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। প্রজ্ঞাপনের এই শর্তের তথ্য উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ৪০তম বিসিএসে যেসব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়া হয়েছে, সরকার চাইলে অতিদ্রুত তদন্তের মাধ্যমে তাদের বাদ দিতে পারে। স্বৈরাচারের কোন দোসরকে আমরা আর মেনে নেবো না। তদন্ত করে যাদের সমস্যা নেই তারা নিয়োগ পাক, আমরা স্বাদরে গ্রহন করবো। আর সরকার যদি এই উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

কালবেলা:

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এস কে সিনহার সব পর্যবেক্ষণ বহাল
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিগত সরকার ২০১৪ সালে পাস করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী। সেই সংশোধনী বাতিলের রায় দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ সাত বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৭ সালের ১ আগস্ট ওই রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। এস কে সিনহার এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থি আইনজীবীরা। কেউ কেউ তখনকার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার পর কৌশলে বিচারপতি এস কে সিনহাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় তৎকালীন সরকার। ছুটি নিয়ে কানাডা যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতি বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তার পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে পৌঁছায়। পরে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ; কিন্তু যেসব পর্যবেক্ষণের কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতি তার পদ হারিয়েছিলেন, সেসব পর্যবেক্ষণ বহাল রয়েছে। ওই রায় রিভিউয়ের আবেদনে পর্যবেক্ষণগুলো বাতিল চাওয়া হয়েছিল। তার পক্ষেও নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল; কিন্তু গতকাল সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ওইসব যুক্তি আদালতে উপস্থাপন করেননি। ফলে আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণগুলোর ব্যাপারে কিছুই বলেননি।

রাজনীতিতে আমিত্বের কড়া সমালোচনা করেন এস কে সিনহা: প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘আমি ও আমিত্ব’ সংস্কৃতির সমালোচনা করেন। তিনি রায়ে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ভিত্তি হচ্ছে, ‘আমরা জনগণ’ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। জাতীয় সংসদ সংবিধানের পরিপন্থি কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারে না এবং কোনো আইন সংবিধানসম্মত কি না, তা বিচার করার অধিকার সংবিধান সুপ্রিম কোর্টকেই দিয়েছে।’

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রায়ে উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে অলঙ্ঘনীয় ঐক্য গড়েছিলাম, তা শত্রুরা নস্যাৎ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজ আমরা একটি মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে বাস করি। অথচ আজ ঔদ্ধত্য এবং অজ্ঞতাকে আমরা প্রশ্রয় দিয়ে চলছি। কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি। আমরা যদি সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্নে সোনার বাংলায় বাঁচতে চাই, তাহলে এই আমিত্বর আসক্তি এবং আত্মঘাতী উচ্চাভিলাস থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে। এই আমিত্ব হলো কেবল এক ব্যক্তি বা একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারেন এমন ভাবনা।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল
উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় বহাল রইল। একই সঙ্গে বিচারকদের অপসারণে সংবিধানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত বিধান পুনর্বহালও করা হয়েছে আদেশে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, রিটকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

প্রথম আলা:

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরল
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে। গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরল।

বিচারপতিদের অপসারণের এই ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে নিতে ১০ বছর আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ২০১৭ সালে রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সেই আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গতকাল রায় দেন। রায়ে সংবিধানের এ-সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হয়।

এই রায়ের ফলে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আর রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে নিজের সই করা পত্র দিয়ে কোনো বিচারক চাইলে পদত্যাগ করতে পারবেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয় প্রধান বিচারপতি ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারপতিকে নিয়ে।

কালের কন্ঠ:

মিরপুরে বিক্ষোভ হামলার শিকার সাকিবভক্তরা
একদিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ভেতরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অনুশীলন। আরেকদিকে স্টেডিয়ামের বাইরে সাকিব আল হাসানের ভক্তদের ভাষায় তাদের লং মার্চ। শান্তিপূর্ণ লং মার্চই একপর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। যেখানে ‘সাকিববিরোধী’দের অতর্কিত হামলার শিকার হয় ‘সাকিবিয়ান’ ব্যানারে আন্দোলনে আসা ভক্তরা।

এদিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ীই দুপুরের পর স্টেডিয়ামের মূল গেটের দিকে যেতে চেয়েছিল সাকিবের ভক্তরা। অনুশীলন শেষ করে এই পথ দিয়েই সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দল বের হবে বলে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে সাকিবভক্তদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। উপায় না পেয়ে একাডেমি ভবনসংলগ্ন এক নম্বর গেটের দিকে আন্দোলন অব্যাহত রাখে সাকিবভক্তরা। তাদের দাবি, সাকিবকে দেশে বিদায়ি টেস্ট খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।

নয়াদিগন্ত:

সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় তার বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিজের বক্তব্য আপনারা এক্সামিন (পর্যালোচনা) করে দেখেন। ওনারা (বিভিন্ন সময়ে অন্যদের) বলেছেন, সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারের মুখোমুখি হন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা ওনার জন্য ভালো হবে। গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আদেশের বিষয়ে ব্রিফিং কালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওনার বক্তব্য, উনি যে দর্শনে বিশ্বাস করেন, প্রত্যেকটা আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া, উনি হয়তো সেটাই করবেন।
অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, এটা এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় না। আইনের ব্যাখ্যা যদি বলেন, একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আমাদের ট্রাইব্যুনাল জারি করেছেন। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানেন, তাহলে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা কার্যকর করা যেতে পারে। এ ছাড়া ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। ইন্টারপোল তখন আসামি যে দেশে আছেন, ওই দেশের আইনে কাভার করতে পারে কি না তা বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালানো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় ১৭ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ নভেম্বর রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।

মানবজমিন:

অধ্যাদেশ দিয়ে চলবে সংসদ সচিবালয়
সংসদ সচিবালয় আইনের পরিবর্তে এখন থেকে অধ্যাদেশ দিয়ে চলবে সংসদ সচিবালয়। ফলে আর্থিক ও প্রশাসনিক সব ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে সংসদ সচিবকে। আগের আইন অনুযায়ী সংসদ সচিবের দায়িত্ব ছিল প্রশাসনিক এবং নীতিগত বিষয়ে স্পিকারকে পরামর্শ দেয়া। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পদত্যাগের প্রেক্ষিতে আইনি জটিলতায় পড়ে ১২শ’ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংসদ সচিবালয়। ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্ব পাওয়া সংসদ সচিবকে সরিয়ে নতুন সচিব নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু স্পিকারের পদ খালি থাকায় বিদ্যমান আইনে সচিব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত মিটিং ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। অনেক কিছু সংস্কারের বিষয় থাকলেও আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উদ্যোগ নিতে পারছেন না। সংসদ সচিবালয় আইন-১৯৯৪ অনুযায়ী স্পিকার সব ক্ষমতার অধিকারি। কোনো কারণে স্পিকারের পদ শূন্য হলে ডেপুটি স্পিকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংসদে ডেপুটি স্পিকারও নেই। তিনি বর্তমানে হত্যা মামলায় কারাগারে আটক আছেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করে সংসদ সচিবের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সংসদ সচিবের দায়িত্বে আছেন ড. মো. আনোয়ার উল্যাহ। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশে, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিবকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পদায়ন করা হয়।

যুগান্তর:

লাখ টাকার আয়ে হাজার কোটির সম্পদ মেননের

দুর্নীতির হাতেখড়ি উইলস লিটল, ভিকারুননিসা ও আইডিয়াল স্কুলে * গোপন করেছেন পৈতৃক সম্পত্তির পরিমাণ * দল ডুবিয়ে স্ত্রীকে বানিয়েছিলেন সংসদ-সদস্যবামধারার রাজনৈতিক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন প্রতিবার নির্বাচনের আগে হলফনামায় গোপন করেছেন সম্পদের তথ্য। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় মাত্র ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ২২৬ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়েছিলেন মেনন ও তার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান। অথচ তাদের রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ। কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও মেনন পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে প্রমাণ মিললে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মেনন ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক সূত্র।

নৌকায় ওঠার পর খাতা খোলেন দুর্নীতির : রাশেদ খান মেননের বাবা বিচারপতি আব্দুল জব্বার ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার। কট্টর বাম রাজনীতিক মেনন তখন বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে প্রথম লাইমলাইটে আসেন। ১৯৭৯ সালে আদর্শিক পথে চলা শ্রদ্ধার মানুষ পরিচয়ে তিনি প্রথম সংসদ-সদস্য হন। তার এ ধারা অব্যাহত থাকে ’৯১ সাল পর্যন্ত। সেবার নিজের দল ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা হিসাবে তিনি বরিশাল-২ নির্বাচনি এলাকায় সংসদ-সদস্য হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এসে অবশ্য তিনি পুরোপুরি পালটে যান। ততদিনে তার দলসহ আরও ১৩ দল মিলে গঠিত হয়েছে ১৪ দলীয় জোট। ওই বছর নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনি প্রতীক কাস্তে, হাতুড়ি ফেলে নৌকা প্রতীকে নিজের নির্বাচনি এলাকা বরিশাল ছেড়ে রাজধানীর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করে সংসদ-সদস্য হন মেনন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ঘটে একই ঘটনা। নৌকার মাঝি হয়ে সংসদ-সদস্য হন ওয়ার্কার্স পার্টির মেনন। ২০২৪-এর নির্বাচনে আরও একটি দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী হন বরিশালের বাসিন্দারা। এবার মেনন ভোট করেন বরিশাল-২ অর্থাৎ উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনে। অথচ তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল-৩ নির্বাচনি এলাকার বাবুগঞ্জ উপজেলায়। মেননের পৈতৃক বাড়ি বাবুগঞ্জের দেহেরগতী এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘২০০৮ সালে নৌকায় ওঠার পর থেকেই মূলত বদলে যান মেনন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ তাকে দুবার মন্ত্রীও বানিয়েছে। আজন্ম আদর্শের রাজনীতি করে দারিদ্র্যের সঙ্গে থাকা মেনন পালটে যান মন্ত্রী হওয়ার পর। বিত্তবৈভবের নেশায় পেয়ে বসে তাকে। যে কোনো মূল্যে সংসদ-সদস্য হওয়াই মুখ্য হয়ে ওঠে তার কাছে। তাই কেবল আদর্শ কেন, জন্মভূমি আর পিতৃভিটার মানুষকে ছেড়ে যেতেও তিনি দ্বিধা করেননি।’

দেশরুপান্তর:

মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
মানহানির মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে আরও খালাস পেয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব দীর্ঘদিন এ মামলায় বাদীপক্ষ আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে খালাসের এ আদেশ দেন।

পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক এ মামলাটি করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। দীর্ঘদিন বাদী আদালতে উপস্থিত না থাকায় এবং সাক্ষী না আসায় আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারা অনুসরণ করে মামলাটি খারিজ করে দেয়। গত ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৯ সালে লন্ডনের একটি আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় এ মামলাটি করেছিলেন তিনি।

আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

শুধু পুলিশ নয়, সব ক্যাডারেই ছাত্রলীগ

আপডেট সময় ০৭:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আজকেরর প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

ইনকিলাব:

শুধু পুলিশ নয়, সব ক্যাডারেই ছাত্রলীগ
৪০তম বিসিএসে ৭১ জন সহকারী পুলিশ সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ জনই ছাত্রলীগের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এই বিসিএসে কেবল পুলিশ ক্যাডারের সহকারী পুলিশ সুপার পদই নয়, সহকারী কমিশনার (প্রশাসন), সহকারী পরিচালক (আনসার), সহকারী মহা-হিসাবরক্ষক, সহকারী নিবন্ধক (সমবায়), সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি), সহকারী সচিব (পররাষ্ট্র বিষয়ক), সহকারী কমিশনার (কর) সহ প্রায় সবকটি ক্যাডারেই বেছে বেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এদের বাইরে মেধার জোরে ভাগ্যক্রমে কেউ নিয়োগের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে শেষ পর্যন্ত তাদের অনেককেই আটকে দেয়া হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ট্যাগ দিয়ে। পুলিশের ইস্যুটি সামনে আসার পর এখন ভুক্তভোগীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই নিয়োগের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে তাদের লাঠিয়াল বাহিনীকে নিয়োগ দেয়ায় ৪০তম বিসিএস বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ৪ ডিসেম্বর যোগদান করতে বলা হয়। এতে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। এই সময়ে কেউ চাকরিতে বহাল থাকার অনুপোযোগী বিবেচিত হলে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। প্রজ্ঞাপনের এই শর্তের তথ্য উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ৪০তম বিসিএসে যেসব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়া হয়েছে, সরকার চাইলে অতিদ্রুত তদন্তের মাধ্যমে তাদের বাদ দিতে পারে। স্বৈরাচারের কোন দোসরকে আমরা আর মেনে নেবো না। তদন্ত করে যাদের সমস্যা নেই তারা নিয়োগ পাক, আমরা স্বাদরে গ্রহন করবো। আর সরকার যদি এই উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

কালবেলা:

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এস কে সিনহার সব পর্যবেক্ষণ বহাল
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিগত সরকার ২০১৪ সালে পাস করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী। সেই সংশোধনী বাতিলের রায় দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ সাত বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৭ সালের ১ আগস্ট ওই রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। এস কে সিনহার এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থি আইনজীবীরা। কেউ কেউ তখনকার প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার পর কৌশলে বিচারপতি এস কে সিনহাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় তৎকালীন সরকার। ছুটি নিয়ে কানাডা যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতি বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তার পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে পৌঁছায়। পরে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ; কিন্তু যেসব পর্যবেক্ষণের কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতি তার পদ হারিয়েছিলেন, সেসব পর্যবেক্ষণ বহাল রয়েছে। ওই রায় রিভিউয়ের আবেদনে পর্যবেক্ষণগুলো বাতিল চাওয়া হয়েছিল। তার পক্ষেও নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল; কিন্তু গতকাল সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ওইসব যুক্তি আদালতে উপস্থাপন করেননি। ফলে আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণগুলোর ব্যাপারে কিছুই বলেননি।

রাজনীতিতে আমিত্বের কড়া সমালোচনা করেন এস কে সিনহা: প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘আমি ও আমিত্ব’ সংস্কৃতির সমালোচনা করেন। তিনি রায়ে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ভিত্তি হচ্ছে, ‘আমরা জনগণ’ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। জাতীয় সংসদ সংবিধানের পরিপন্থি কোনো আইন প্রণয়ন করতে পারে না এবং কোনো আইন সংবিধানসম্মত কি না, তা বিচার করার অধিকার সংবিধান সুপ্রিম কোর্টকেই দিয়েছে।’

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রায়ে উল্লেখ করেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে অলঙ্ঘনীয় ঐক্য গড়েছিলাম, তা শত্রুরা নস্যাৎ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজ আমরা একটি মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে বাস করি। অথচ আজ ঔদ্ধত্য এবং অজ্ঞতাকে আমরা প্রশ্রয় দিয়ে চলছি। কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি। আমরা যদি সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্নে সোনার বাংলায় বাঁচতে চাই, তাহলে এই আমিত্বর আসক্তি এবং আত্মঘাতী উচ্চাভিলাস থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে। এই আমিত্ব হলো কেবল এক ব্যক্তি বা একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারেন এমন ভাবনা।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল
উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় বহাল রইল। একই সঙ্গে বিচারকদের অপসারণে সংবিধানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত বিধান পুনর্বহালও করা হয়েছে আদেশে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, রিটকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

প্রথম আলা:

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরল
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে। গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরল।

বিচারপতিদের অপসারণের এই ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে নিতে ১০ বছর আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ২০১৭ সালে রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সেই আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গতকাল রায় দেন। রায়ে সংবিধানের এ-সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হয়।

এই রায়ের ফলে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আর রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে নিজের সই করা পত্র দিয়ে কোনো বিচারক চাইলে পদত্যাগ করতে পারবেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয় প্রধান বিচারপতি ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারপতিকে নিয়ে।

কালের কন্ঠ:

মিরপুরে বিক্ষোভ হামলার শিকার সাকিবভক্তরা
একদিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ভেতরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অনুশীলন। আরেকদিকে স্টেডিয়ামের বাইরে সাকিব আল হাসানের ভক্তদের ভাষায় তাদের লং মার্চ। শান্তিপূর্ণ লং মার্চই একপর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। যেখানে ‘সাকিববিরোধী’দের অতর্কিত হামলার শিকার হয় ‘সাকিবিয়ান’ ব্যানারে আন্দোলনে আসা ভক্তরা।

এদিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ীই দুপুরের পর স্টেডিয়ামের মূল গেটের দিকে যেতে চেয়েছিল সাকিবের ভক্তরা। অনুশীলন শেষ করে এই পথ দিয়েই সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দল বের হবে বলে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে সাকিবভক্তদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। উপায় না পেয়ে একাডেমি ভবনসংলগ্ন এক নম্বর গেটের দিকে আন্দোলন অব্যাহত রাখে সাকিবভক্তরা। তাদের দাবি, সাকিবকে দেশে বিদায়ি টেস্ট খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।

নয়াদিগন্ত:

সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় তার বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিজের বক্তব্য আপনারা এক্সামিন (পর্যালোচনা) করে দেখেন। ওনারা (বিভিন্ন সময়ে অন্যদের) বলেছেন, সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারের মুখোমুখি হন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা ওনার জন্য ভালো হবে। গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আদেশের বিষয়ে ব্রিফিং কালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওনার বক্তব্য, উনি যে দর্শনে বিশ্বাস করেন, প্রত্যেকটা আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া, উনি হয়তো সেটাই করবেন।
অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, এটা এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় না। আইনের ব্যাখ্যা যদি বলেন, একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আমাদের ট্রাইব্যুনাল জারি করেছেন। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানেন, তাহলে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা কার্যকর করা যেতে পারে। এ ছাড়া ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। ইন্টারপোল তখন আসামি যে দেশে আছেন, ওই দেশের আইনে কাভার করতে পারে কি না তা বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালানো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় ১৭ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ নভেম্বর রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।

মানবজমিন:

অধ্যাদেশ দিয়ে চলবে সংসদ সচিবালয়
সংসদ সচিবালয় আইনের পরিবর্তে এখন থেকে অধ্যাদেশ দিয়ে চলবে সংসদ সচিবালয়। ফলে আর্থিক ও প্রশাসনিক সব ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে সংসদ সচিবকে। আগের আইন অনুযায়ী সংসদ সচিবের দায়িত্ব ছিল প্রশাসনিক এবং নীতিগত বিষয়ে স্পিকারকে পরামর্শ দেয়া। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পদত্যাগের প্রেক্ষিতে আইনি জটিলতায় পড়ে ১২শ’ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংসদ সচিবালয়। ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্ব পাওয়া সংসদ সচিবকে সরিয়ে নতুন সচিব নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু স্পিকারের পদ খালি থাকায় বিদ্যমান আইনে সচিব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত মিটিং ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। অনেক কিছু সংস্কারের বিষয় থাকলেও আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উদ্যোগ নিতে পারছেন না। সংসদ সচিবালয় আইন-১৯৯৪ অনুযায়ী স্পিকার সব ক্ষমতার অধিকারি। কোনো কারণে স্পিকারের পদ শূন্য হলে ডেপুটি স্পিকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংসদে ডেপুটি স্পিকারও নেই। তিনি বর্তমানে হত্যা মামলায় কারাগারে আটক আছেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করে সংসদ সচিবের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সংসদ সচিবের দায়িত্বে আছেন ড. মো. আনোয়ার উল্যাহ। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশে, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিবকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে পদায়ন করা হয়।

যুগান্তর:

লাখ টাকার আয়ে হাজার কোটির সম্পদ মেননের

দুর্নীতির হাতেখড়ি উইলস লিটল, ভিকারুননিসা ও আইডিয়াল স্কুলে * গোপন করেছেন পৈতৃক সম্পত্তির পরিমাণ * দল ডুবিয়ে স্ত্রীকে বানিয়েছিলেন সংসদ-সদস্যবামধারার রাজনৈতিক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন প্রতিবার নির্বাচনের আগে হলফনামায় গোপন করেছেন সম্পদের তথ্য। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় মাত্র ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ২২৬ টাকার সম্পদ থাকার কথা জানিয়েছিলেন মেনন ও তার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান। অথচ তাদের রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ। কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও মেনন পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে প্রমাণ মিললে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মেনন ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক সূত্র।

নৌকায় ওঠার পর খাতা খোলেন দুর্নীতির : রাশেদ খান মেননের বাবা বিচারপতি আব্দুল জব্বার ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার। কট্টর বাম রাজনীতিক মেনন তখন বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে প্রথম লাইমলাইটে আসেন। ১৯৭৯ সালে আদর্শিক পথে চলা শ্রদ্ধার মানুষ পরিচয়ে তিনি প্রথম সংসদ-সদস্য হন। তার এ ধারা অব্যাহত থাকে ’৯১ সাল পর্যন্ত। সেবার নিজের দল ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা হিসাবে তিনি বরিশাল-২ নির্বাচনি এলাকায় সংসদ-সদস্য হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এসে অবশ্য তিনি পুরোপুরি পালটে যান। ততদিনে তার দলসহ আরও ১৩ দল মিলে গঠিত হয়েছে ১৪ দলীয় জোট। ওই বছর নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনি প্রতীক কাস্তে, হাতুড়ি ফেলে নৌকা প্রতীকে নিজের নির্বাচনি এলাকা বরিশাল ছেড়ে রাজধানীর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করে সংসদ-সদস্য হন মেনন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ঘটে একই ঘটনা। নৌকার মাঝি হয়ে সংসদ-সদস্য হন ওয়ার্কার্স পার্টির মেনন। ২০২৪-এর নির্বাচনে আরও একটি দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী হন বরিশালের বাসিন্দারা। এবার মেনন ভোট করেন বরিশাল-২ অর্থাৎ উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনে। অথচ তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল-৩ নির্বাচনি এলাকার বাবুগঞ্জ উপজেলায়। মেননের পৈতৃক বাড়ি বাবুগঞ্জের দেহেরগতী এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘২০০৮ সালে নৌকায় ওঠার পর থেকেই মূলত বদলে যান মেনন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ তাকে দুবার মন্ত্রীও বানিয়েছে। আজন্ম আদর্শের রাজনীতি করে দারিদ্র্যের সঙ্গে থাকা মেনন পালটে যান মন্ত্রী হওয়ার পর। বিত্তবৈভবের নেশায় পেয়ে বসে তাকে। যে কোনো মূল্যে সংসদ-সদস্য হওয়াই মুখ্য হয়ে ওঠে তার কাছে। তাই কেবল আদর্শ কেন, জন্মভূমি আর পিতৃভিটার মানুষকে ছেড়ে যেতেও তিনি দ্বিধা করেননি।’

দেশরুপান্তর:

মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
মানহানির মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার সঙ্গে আরও খালাস পেয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব দীর্ঘদিন এ মামলায় বাদীপক্ষ আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে খালাসের এ আদেশ দেন।

পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক এ মামলাটি করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। দীর্ঘদিন বাদী আদালতে উপস্থিত না থাকায় এবং সাক্ষী না আসায় আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারা অনুসরণ করে মামলাটি খারিজ করে দেয়। গত ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৯ সালে লন্ডনের একটি আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় এ মামলাটি করেছিলেন তিনি।