ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২৬ অস্ত্রধারী শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১৯

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 200

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

১২৬ অস্ত্রধারী শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১৯
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে অস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, ওই যুবক ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাতিজা। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল। সেদিন আসিফের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঠিক এক দিন আগে গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুরে এ রকম আরেকটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেদিন মোহাম্মদপুরের বছিলা সড়কেও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছোড়া হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঢাকা উত্তরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আরেকজন সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ওরফে রাজীব এবং সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান ওরফে বিপ্লব আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে যাচ্ছেন।

গত জুলাই ও আগস্টের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার যেসব এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল, এর মধ্যে মোহাম্মদপুর অন্যতম। এর মধ্যে ১৭–২১ জুলাই এবং ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বছিলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থানকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়েছিল। আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় দলবল নিয়ে সক্রিয় ছিলেন সাবেক দুই কাউন্সিলর আসিফ ও রাজীব এবং বিপ্লব। গত ৫ আগস্ট দুপুরের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। এখন পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে এভাবে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র–জনতার অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১২ জেলায়। অন্য জেলাগুলো হলো চট্টগ্রাম, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, রংপুর, জামালপুর, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, সিলেট ও লক্ষ্মীপুর। এর বাইরে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও কেরানীগঞ্জে ছাত্র–জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছেন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এসব ঘটনায় ১২৬ জন অস্ত্রধারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকেরা।

ঢাকাসহ দেশের ১২টি জেলায় যে ১২৬ জন অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করা গেছে, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকেরা নিশ্চিত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া ১০ জন অস্ত্রধারীর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। ফেনীতে শনাক্ত হওয়া ৩৩ জন অস্ত্রধারীর মধ্যে ১ জনকে, কেরানীগঞ্জে ৪ জনের মধ্যে ১ জনকে এবং সিরাজগঞ্জে ২ জনের মধ্যে ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। অবশ্য অস্ত্রধারীদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সব হিসাবেই গোলমাল
অর্থনৈতিক, আর্থসামাজিক সূচক এবং কৃষি ও শিল্প-সংক্রান্ত পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সব তথ্যেই গোলমাল। খোদ পরিসংখ্যান বিভাগের জরিপ করা তথ্যের ওপরই মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। গোলমেলে তথ্যের হিসাব নিয়েই সরকারের মধ্যেও ছিল নানা রকমের অসন্তোষ। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতেও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে সাবেক স্বৈরসরকারকে। পরিসংখ্যানের গোঁজামিল তথ্যের চূড়ান্ত ফলস্বরূপ সাধারণ মানুষের ওপর নেমে এসেছে নানা রকমের ভোগান্তি, যা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করেছে অস্থিরতা ও আস্থাহীনতা। শত কৌশলেও ঠেকানো যায়নি দ্রব্যমূল্যের ঊর্র্ধ্বগতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি সাধারণ মানুষকে। এ অবস্থায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের প্রকৃত তথ্য প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ফাঁপা উন্নয়ন দেখাতে দেশের উৎপাদন, উন্নয়নের পরিসংখ্যানে গোঁজামিলের আশ্রয় নিয়েছে ভয়াবহভাবে। খাদ্য উৎপাদন, মাছ, মাংস, দুুধ, ডিম, জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয়, গড় বয়স, খেলাপি ঋণ, বেকারত্ব, দারিদ্র্য বিমোচন, জিডিপি, মূল্যস্ফীতিসহ সব খাতের পরিসংখ্যানেই ছিল ব্যাপক গরমিল। উৎপাদন ও উন্নয়নের সঠিক হিসাব পেতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য ‘মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি’র প্রকৃত হার নিরূপণ, ‘রাজস্ব’ এবং ‘রপ্তানি’ আয়ের সঠিক হিসাব বের করার নির্দেশনা দিয়েছে অর্থবিভাগ। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অর্থনীতির এই চারটি খাতে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। পর্যায়ক্রমে উৎপাদন, আমদানি, প্রকৃত চাহিদা, জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয়সহ অন্য বিষয়গুলোর প্রকৃত পরিসংখ্যান বের করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কালের কন্ঠ:

আমলাদের মতো গাড়ি চান বিচারকরাও
আমলাদের মতো বিচারকরাও সুদমুক্ত ঋণে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে চান। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের গাড়ি কেনার নীতিমালার অনুমোদনও দিয়ে গেছেন। এখন অর্থ বিভাগের অনুমতি পেলেই গাড়ি কেনা শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং চাকরিকাল ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে এমন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের জন্য সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন সুবিধা পাবেন।

ঋণের টাকায় ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি মডেলের গাড়ি কেনা যাবে। ২০২০ সালে জারীকৃত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২৩’-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির সুদমুক্ত ঋণের জন্য নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো অর্থ বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদন দিচ্ছে না।

নয়াদিগন্ত:

সবার জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চাই : ড. ইউনূস 
অন্তর্বর্তী সরকার সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। এ সরকার এমন বাংলাদেশে গঠন করতে চায় যেখানে সব সম্প্রদায় এবং নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। এ জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটি দেশ গড়তে চায় যা নিয়ে গোটা দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়। ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপে ড. ইউনূসকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর তিনি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং পুরোহিতের সাথে কথা বলে পূজার খোঁজখবর নেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা আমরা করতে পেরেছি সবাই মিলে। এর পেছনে সরকারের বড় বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা হলো, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি সরকারের কাছে যত রকমের শান্তিরক্ষা বাহিনী ছিল সবাই। তিনি বলেন, সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ, সহজ কাজ না। কঠিন কাজ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে পেরেছে। এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সমাধা করতে পেরেছে। সবাই মিলে কাজ করলে যে সফলতা পাওয়া যায়, সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।

দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন উৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের মনে করিয়ে দেই, সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে, র‌্যাবকে দিয়ে আমাদের আনন্দ, উৎসব করার আয়োজন করতে যাওয়াটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাটাকে আমরা গ্রহণ করেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই যে, কোনো জায়গায় একটা অংশ আনন্দ-উৎসব করবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করব। এ রকম সমাজকে নিয়ে আমরা কী করব? এ রকম সমাজ কি আমরা চাই? আমরা এ রকম সমাজ চাই না।

যুগান্তর:

সম্পদ থেকে আয় ১৮ বছরে সর্বনিম্নে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতের ওপর দিয়ে বলতে গেলে সুনামি বয়ে গেছে। ব্যাংক লুটপাটের পাশাপাশি ব্যাংক দখল হয়েছে। দখল করেই লুটপাটকারীরা ক্ষান্ত হয়নি, ঋণের নামে আমানতকারীদের টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

বিতরণ করা ঋণ ও ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ তো আদায় হচ্ছেই না, উলটো সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোর আয় কমে গেছে। ব্যাংকগুলোর মোট আয়ের সিংহভাগই আসে বিতরণ করা ঋণ ও অন্যান্য সম্পদ থেকে। এ খাতে আয় গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে গেছে। এমন কি গত ১৮ বছরের মধ্যেও এ খাতের আয় এখন সর্বনিম্নে। এছাড়া মূলধন থেকেও আয় কমেছে।

ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মূলধন রাখার হারও কমেছে। সব মিলে ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কয়েকটি ব্যাংক লুটপাটের কারণে তারল্য সংকটে পড়ে এখন আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

মানবজমিন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন যেমন চলছে
অস্থির সময় পেরিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর মধুর ক্যান্টিনে নেতাকর্মীদের ভিড় নেই। ক্লাস-পরীক্ষার সময় উচ্চশব্দের রাজনৈতিক স্লোগান নেই। নবাগত শিক্ষার্থীদের জোর করে নেতাকে প্রটোকল দেয়া ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়ে যাচ্ছে না কোনো ছাত্রসংগঠন। হলগুলোতে বন্ধ গেস্টরুম ও গণরুম কালচার। শিক্ষাসূচি চলছে স্বাভাবিক গতিতে। সব মিলিয়ে নতুন এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখছেন শিক্ষার্থীরা। এতদিন অপরাজনীতির যে শৃঙ্খল তাদের বন্দি রেখেছিল সেই দৃশ্য থেকে মুক্ত তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই এভাবে বদলে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র। তবে সংকট রয়েছে কোথাও কোথাও। বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও অনিয়মের সমর্থনকারী অর্ধশতাধিক শিক্ষককে বয়কট করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাই কোনো কোনো কোর্সে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া যাদের প্রত্যক্ষ মদতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে সেসব শিক্ষক ও হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। অন্যদিকে ছেলেদের হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতদের বের করে দেয়ায় আবাসন সংকট অনেকটা কেটে গেলেও মেয়েদের হলে বরাবরের মতোই প্রকট রয়েছে আবাসন সংকট। ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না সে বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে আলোচনা নেই। এ ছাড়া নতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন কী হবে তা নিয়েও তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অন্যদিকে ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছেন, তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন। শিক্ষার্থীরাও পড়া-লেখায় মনোযোগী হচ্ছে। নতুন হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গঠন করা হবে কমিটি।

বনিক বার্তা:

বন্যায় অবহেলিত ময়মনসিংহের তিন জেলা, যাননি কোনো উপদেষ্টা
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বেশ কয়েকটি উপজেলা। এরই মধ্যে নামতে শুরু করেছে সেই পানি। ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। আকস্মিক এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। পানিতে তলিয়ে গেছে লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান, পচে গেছে সবজিখেতের ফসল। ভেসে গেছে খামারের মাছ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে প্লাবিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ সড়ক। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকটও। বন্যায় এ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারের কোনো উপদেষ্টা পরিদর্শনে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যার্তরা। প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করেন, সবার কাছেই ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। তবে যোগাযোগ সমস্যার কারণে কিছু এলাকায় যেতে সমস্যা হচ্ছে।

পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছের খামার করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। বিনিয়োগের প্রায় পুরোটাই ছিল ব্যাংক ঋণ। আশ্বিনের বৃষ্টি আর উজানি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে গেছে তার সব মাছ। ঋণ শোধ আর সংসারের খরচ এখন কীভাবে চালাবেন, তা নিয়েই আছেন চরম দুশ্চিন্তায়। আনোয়ার হোসেনের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দার আমতৈল গ্রামে। আকস্মিক বন্যায় ২৫ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এ মৎস্যচাষী। তার মতো অনেক পরিবারই ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বন্যার পানি কমায় সে ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

কালবেলা:

১৮ আর্থিক প্রতিষ্ঠান‘লাইফ সাপোর্টে’
দেশে বর্তমানে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫টি। বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার, এস আলমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এখন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮টি কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখা (লাইফ সাপোর্ট) হয়েছে। এই ১৮টির মধ্যে ৯টিই মুমূর্ষু। বাকি ৯টি অতিরুগণ, কোনোমতে টিকে আছে। এ ছাড়া রুগণ প্রতিষ্ঠান হিসাব করলে দেশের মোট ২৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থায় খারাপ। কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া নানা অনিয়মের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় আমানত পেতে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ থাকার কারণে অনেকে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ক্রমেই বেড়ে চলছে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির অভাবেও এ খাতের খেলাপি ঋণ বাড়ছে।

তথ্য বলছে, দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতে প্রশান্ত কুমার হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার পরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। অন্তত চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে না পেরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অবসায়নেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিগত সরকার। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে আবারও পুনরুজ্জীবিত করা হয় এসব প্রতিষ্ঠান। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা।

মুমূর্ষু ৯ প্রতিষ্ঠান: চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে মুমূর্ষু অবস্থায়। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ। এর মধ্যে আর্থিক খাতের বহুল আলোচিত ব্যক্তি পি কে হালদারের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় ছিল—এমন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি।

সমকাল:

রেকর্ড রান দিয়ে রেকর্ড হার বাংলাদেশের 
বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটুনি দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০’র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান করেছে ভারত। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ টি-২০ রান দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। জবাবে বাংলাদেশ আবার টি-২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৩৩ রানের ব্যবধানে হেরেছে।

আন্তর্জাতিক টি-২০’র রেকর্ড রান ৩১৪। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ওই রান করেছিল নেপাল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল আফগানিস্তান ও চেক প্রজাতন্ত্রের ২৭৮। ওই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার ছিল ১০৪। ওই রেকর্ড ভেঙে আরও বড় লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার হায়দরাবাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুতে অভিষেক শর্মাকে হারায়। দলের ২৩ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরে যান বাঁ-হাতি এই ওপেনার। পরের গল্পটা ওপেনার সানজু সামসন ও সূর্যকুমার যাদবের। তারা ১৮৩ রানের জুটি গড়েন। ১৩.৪ ওভারে তুলে ফেলেন ১৯৬ রান।

বেধড়ক পিটুনিতে সানজু সামসন ৪৭ বলে ১১১ রান করেন। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও আটটি ছক্কার শট আসে। সূর্যকুমার ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন। আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কা আসে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে। পরে রায়ান পরাগ ১৩ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ ও হার্ডিক পান্ডিয়া ১৮ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে তিনশ’ ছোয়া পুঁজি এনে দেন।

দেশরুপান্তর:

এক কলেজ অনুমোদনেই দুই কোটি
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ডা. আ ফ ম রুহুল হক। শপথ নিয়েই বলেছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট ভাঙতে চান তিনি। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি তা বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামীপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) তখনকার সভাপতি মন্ত্রী হয়ে সিন্ডিকেট ভাঙার বদলে নিজেই ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রুহুল হকের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা একাধিক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, ওই সময় এক একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদনের জন্য দুই কোটি টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন মন্ত্রী। এ ছাড়া কলেজের আসন বাড়াতে তাকে দিতে হতো আসনপ্রতি ২০ লাখ টাকা।

জনপ্রিয় সংবাদ

১২৬ অস্ত্রধারী শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১৯

আপডেট সময় ০৭:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

১২৬ অস্ত্রধারী শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১৯
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে অস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, ওই যুবক ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাতিজা। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল। সেদিন আসিফের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঠিক এক দিন আগে গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুরে এ রকম আরেকটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেদিন মোহাম্মদপুরের বছিলা সড়কেও ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছোড়া হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঢাকা উত্তরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আরেকজন সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ওরফে রাজীব এবং সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান ওরফে বিপ্লব আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে যাচ্ছেন।

গত জুলাই ও আগস্টের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার যেসব এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল, এর মধ্যে মোহাম্মদপুর অন্যতম। এর মধ্যে ১৭–২১ জুলাই এবং ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বছিলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থানকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়েছিল। আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় দলবল নিয়ে সক্রিয় ছিলেন সাবেক দুই কাউন্সিলর আসিফ ও রাজীব এবং বিপ্লব। গত ৫ আগস্ট দুপুরের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। এখন পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে এভাবে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র–জনতার অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১২ জেলায়। অন্য জেলাগুলো হলো চট্টগ্রাম, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, রংপুর, জামালপুর, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, সিলেট ও লক্ষ্মীপুর। এর বাইরে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও কেরানীগঞ্জে ছাত্র–জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছেন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এসব ঘটনায় ১২৬ জন অস্ত্রধারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকেরা।

ঢাকাসহ দেশের ১২টি জেলায় যে ১২৬ জন অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করা গেছে, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকেরা নিশ্চিত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া ১০ জন অস্ত্রধারীর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। ফেনীতে শনাক্ত হওয়া ৩৩ জন অস্ত্রধারীর মধ্যে ১ জনকে, কেরানীগঞ্জে ৪ জনের মধ্যে ১ জনকে এবং সিরাজগঞ্জে ২ জনের মধ্যে ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। অবশ্য অস্ত্রধারীদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সব হিসাবেই গোলমাল
অর্থনৈতিক, আর্থসামাজিক সূচক এবং কৃষি ও শিল্প-সংক্রান্ত পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সব তথ্যেই গোলমাল। খোদ পরিসংখ্যান বিভাগের জরিপ করা তথ্যের ওপরই মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। গোলমেলে তথ্যের হিসাব নিয়েই সরকারের মধ্যেও ছিল নানা রকমের অসন্তোষ। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতেও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে সাবেক স্বৈরসরকারকে। পরিসংখ্যানের গোঁজামিল তথ্যের চূড়ান্ত ফলস্বরূপ সাধারণ মানুষের ওপর নেমে এসেছে নানা রকমের ভোগান্তি, যা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সৃষ্টি করেছে অস্থিরতা ও আস্থাহীনতা। শত কৌশলেও ঠেকানো যায়নি দ্রব্যমূল্যের ঊর্র্ধ্বগতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি সাধারণ মানুষকে। এ অবস্থায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের প্রকৃত তথ্য প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ফাঁপা উন্নয়ন দেখাতে দেশের উৎপাদন, উন্নয়নের পরিসংখ্যানে গোঁজামিলের আশ্রয় নিয়েছে ভয়াবহভাবে। খাদ্য উৎপাদন, মাছ, মাংস, দুুধ, ডিম, জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয়, গড় বয়স, খেলাপি ঋণ, বেকারত্ব, দারিদ্র্য বিমোচন, জিডিপি, মূল্যস্ফীতিসহ সব খাতের পরিসংখ্যানেই ছিল ব্যাপক গরমিল। উৎপাদন ও উন্নয়নের সঠিক হিসাব পেতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য ‘মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি’র প্রকৃত হার নিরূপণ, ‘রাজস্ব’ এবং ‘রপ্তানি’ আয়ের সঠিক হিসাব বের করার নির্দেশনা দিয়েছে অর্থবিভাগ। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অর্থনীতির এই চারটি খাতে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। পর্যায়ক্রমে উৎপাদন, আমদানি, প্রকৃত চাহিদা, জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয়সহ অন্য বিষয়গুলোর প্রকৃত পরিসংখ্যান বের করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কালের কন্ঠ:

আমলাদের মতো গাড়ি চান বিচারকরাও
আমলাদের মতো বিচারকরাও সুদমুক্ত ঋণে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে চান। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের গাড়ি কেনার নীতিমালার অনুমোদনও দিয়ে গেছেন। এখন অর্থ বিভাগের অনুমতি পেলেই গাড়ি কেনা শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং চাকরিকাল ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে এমন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের জন্য সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন সুবিধা পাবেন।

ঋণের টাকায় ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি মডেলের গাড়ি কেনা যাবে। ২০২০ সালে জারীকৃত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২৩’-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির সুদমুক্ত ঋণের জন্য নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো অর্থ বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদন দিচ্ছে না।

নয়াদিগন্ত:

সবার জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চাই : ড. ইউনূস 
অন্তর্বর্তী সরকার সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। এ সরকার এমন বাংলাদেশে গঠন করতে চায় যেখানে সব সম্প্রদায় এবং নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। এ জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটি দেশ গড়তে চায় যা নিয়ে গোটা দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়। ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপে ড. ইউনূসকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর তিনি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং পুরোহিতের সাথে কথা বলে পূজার খোঁজখবর নেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা আমরা করতে পেরেছি সবাই মিলে। এর পেছনে সরকারের বড় বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা হলো, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি সরকারের কাছে যত রকমের শান্তিরক্ষা বাহিনী ছিল সবাই। তিনি বলেন, সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ, সহজ কাজ না। কঠিন কাজ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে পেরেছে। এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সমাধা করতে পেরেছে। সবাই মিলে কাজ করলে যে সফলতা পাওয়া যায়, সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।

দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন উৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের মনে করিয়ে দেই, সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে, র‌্যাবকে দিয়ে আমাদের আনন্দ, উৎসব করার আয়োজন করতে যাওয়াটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাটাকে আমরা গ্রহণ করেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই যে, কোনো জায়গায় একটা অংশ আনন্দ-উৎসব করবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করব। এ রকম সমাজকে নিয়ে আমরা কী করব? এ রকম সমাজ কি আমরা চাই? আমরা এ রকম সমাজ চাই না।

যুগান্তর:

সম্পদ থেকে আয় ১৮ বছরে সর্বনিম্নে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতের ওপর দিয়ে বলতে গেলে সুনামি বয়ে গেছে। ব্যাংক লুটপাটের পাশাপাশি ব্যাংক দখল হয়েছে। দখল করেই লুটপাটকারীরা ক্ষান্ত হয়নি, ঋণের নামে আমানতকারীদের টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

বিতরণ করা ঋণ ও ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ তো আদায় হচ্ছেই না, উলটো সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোর আয় কমে গেছে। ব্যাংকগুলোর মোট আয়ের সিংহভাগই আসে বিতরণ করা ঋণ ও অন্যান্য সম্পদ থেকে। এ খাতে আয় গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে গেছে। এমন কি গত ১৮ বছরের মধ্যেও এ খাতের আয় এখন সর্বনিম্নে। এছাড়া মূলধন থেকেও আয় কমেছে।

ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মূলধন রাখার হারও কমেছে। সব মিলে ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কয়েকটি ব্যাংক লুটপাটের কারণে তারল্য সংকটে পড়ে এখন আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

মানবজমিন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন যেমন চলছে
অস্থির সময় পেরিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর মধুর ক্যান্টিনে নেতাকর্মীদের ভিড় নেই। ক্লাস-পরীক্ষার সময় উচ্চশব্দের রাজনৈতিক স্লোগান নেই। নবাগত শিক্ষার্থীদের জোর করে নেতাকে প্রটোকল দেয়া ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়ে যাচ্ছে না কোনো ছাত্রসংগঠন। হলগুলোতে বন্ধ গেস্টরুম ও গণরুম কালচার। শিক্ষাসূচি চলছে স্বাভাবিক গতিতে। সব মিলিয়ে নতুন এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখছেন শিক্ষার্থীরা। এতদিন অপরাজনীতির যে শৃঙ্খল তাদের বন্দি রেখেছিল সেই দৃশ্য থেকে মুক্ত তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই এভাবে বদলে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র। তবে সংকট রয়েছে কোথাও কোথাও। বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও অনিয়মের সমর্থনকারী অর্ধশতাধিক শিক্ষককে বয়কট করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাই কোনো কোনো কোর্সে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া যাদের প্রত্যক্ষ মদতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে সেসব শিক্ষক ও হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। অন্যদিকে ছেলেদের হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতদের বের করে দেয়ায় আবাসন সংকট অনেকটা কেটে গেলেও মেয়েদের হলে বরাবরের মতোই প্রকট রয়েছে আবাসন সংকট। ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না সে বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে আলোচনা নেই। এ ছাড়া নতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন কী হবে তা নিয়েও তেমন কোনো আলোচনা হচ্ছে না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অন্যদিকে ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছেন, তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন। শিক্ষার্থীরাও পড়া-লেখায় মনোযোগী হচ্ছে। নতুন হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গঠন করা হবে কমিটি।

বনিক বার্তা:

বন্যায় অবহেলিত ময়মনসিংহের তিন জেলা, যাননি কোনো উপদেষ্টা
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বেশ কয়েকটি উপজেলা। এরই মধ্যে নামতে শুরু করেছে সেই পানি। ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। আকস্মিক এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। পানিতে তলিয়ে গেছে লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান, পচে গেছে সবজিখেতের ফসল। ভেসে গেছে খামারের মাছ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে প্লাবিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ সড়ক। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকটও। বন্যায় এ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারের কোনো উপদেষ্টা পরিদর্শনে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যার্তরা। প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করেন, সবার কাছেই ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। তবে যোগাযোগ সমস্যার কারণে কিছু এলাকায় যেতে সমস্যা হচ্ছে।

পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছের খামার করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। বিনিয়োগের প্রায় পুরোটাই ছিল ব্যাংক ঋণ। আশ্বিনের বৃষ্টি আর উজানি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে গেছে তার সব মাছ। ঋণ শোধ আর সংসারের খরচ এখন কীভাবে চালাবেন, তা নিয়েই আছেন চরম দুশ্চিন্তায়। আনোয়ার হোসেনের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দার আমতৈল গ্রামে। আকস্মিক বন্যায় ২৫ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এ মৎস্যচাষী। তার মতো অনেক পরিবারই ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বন্যার পানি কমায় সে ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

কালবেলা:

১৮ আর্থিক প্রতিষ্ঠান‘লাইফ সাপোর্টে’
দেশে বর্তমানে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫টি। বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার, এস আলমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এখন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮টি কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখা (লাইফ সাপোর্ট) হয়েছে। এই ১৮টির মধ্যে ৯টিই মুমূর্ষু। বাকি ৯টি অতিরুগণ, কোনোমতে টিকে আছে। এ ছাড়া রুগণ প্রতিষ্ঠান হিসাব করলে দেশের মোট ২৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থায় খারাপ। কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া নানা অনিয়মের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় আমানত পেতে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ থাকার কারণে অনেকে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ক্রমেই বেড়ে চলছে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির অভাবেও এ খাতের খেলাপি ঋণ বাড়ছে।

তথ্য বলছে, দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতে প্রশান্ত কুমার হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার পরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। অন্তত চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে না পেরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অবসায়নেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিগত সরকার। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে আবারও পুনরুজ্জীবিত করা হয় এসব প্রতিষ্ঠান। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা।

মুমূর্ষু ৯ প্রতিষ্ঠান: চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে মুমূর্ষু অবস্থায়। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ। এর মধ্যে আর্থিক খাতের বহুল আলোচিত ব্যক্তি পি কে হালদারের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় ছিল—এমন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি।

সমকাল:

রেকর্ড রান দিয়ে রেকর্ড হার বাংলাদেশের 
বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটুনি দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০’র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ রান করেছে ভারত। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ টি-২০ রান দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। জবাবে বাংলাদেশ আবার টি-২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৩৩ রানের ব্যবধানে হেরেছে।

আন্তর্জাতিক টি-২০’র রেকর্ড রান ৩১৪। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ওই রান করেছিল নেপাল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল আফগানিস্তান ও চেক প্রজাতন্ত্রের ২৭৮। ওই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার ছিল ১০৪। ওই রেকর্ড ভেঙে আরও বড় লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার হায়দরাবাদে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুতে অভিষেক শর্মাকে হারায়। দলের ২৩ রানে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরে যান বাঁ-হাতি এই ওপেনার। পরের গল্পটা ওপেনার সানজু সামসন ও সূর্যকুমার যাদবের। তারা ১৮৩ রানের জুটি গড়েন। ১৩.৪ ওভারে তুলে ফেলেন ১৯৬ রান।

বেধড়ক পিটুনিতে সানজু সামসন ৪৭ বলে ১১১ রান করেন। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও আটটি ছক্কার শট আসে। সূর্যকুমার ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন। আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কা আসে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে। পরে রায়ান পরাগ ১৩ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ ও হার্ডিক পান্ডিয়া ১৮ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে তিনশ’ ছোয়া পুঁজি এনে দেন।

দেশরুপান্তর:

এক কলেজ অনুমোদনেই দুই কোটি
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ডা. আ ফ ম রুহুল হক। শপথ নিয়েই বলেছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট ভাঙতে চান তিনি। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি তা বেমালুম ভুলে গিয়ে নিজেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামীপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) তখনকার সভাপতি মন্ত্রী হয়ে সিন্ডিকেট ভাঙার বদলে নিজেই ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রুহুল হকের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা একাধিক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, ওই সময় এক একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদনের জন্য দুই কোটি টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন মন্ত্রী। এ ছাড়া কলেজের আসন বাড়াতে তাকে দিতে হতো আসনপ্রতি ২০ লাখ টাকা।