ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার, অক্ষত আছে শরীর

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দাহিয়েহতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এই হামলায় প্রাণ হারান নাসরুল্লাহ।

আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মেডিকেল ও নিরাপত্তার একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছেন, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই এবং এটি অক্ষত অবস্থায় আছে।

গতকাল হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক তথ্য জানায়। তবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, অথবা কখন তাকে দাফন করা হবে সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

তবে মরদেহ উদ্ধারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, তার শরীরে সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তারা ধারণা করছেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর ‘ব্লান্ট ট্রমায়’ নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। ব্লান্ট ট্রমা হলো— কোনো কিছুর আঘাতে শরীরের বাইরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না। কিন্তু শরীরের ভেতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শুক্রবার হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ওই সময় সেখানে ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে প্যারিসিয়েন জানিয়েছে, এই বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ইরানি গুপ্তচর ইসরায়েলকে জানায়, শুক্রবার বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাসরুল্লাহ। তিনি যখন মাটির নিচে অবস্থিত সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন তার কিছুক্ষণ পরই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। যা হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে ধসিয়ে দেয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার, অক্ষত আছে শরীর

আপডেট সময় ০৭:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দাহিয়েহতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এই হামলায় প্রাণ হারান নাসরুল্লাহ।

আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মেডিকেল ও নিরাপত্তার একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছেন, মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই এবং এটি অক্ষত অবস্থায় আছে।

গতকাল হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক তথ্য জানায়। তবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, অথবা কখন তাকে দাফন করা হবে সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

তবে মরদেহ উদ্ধারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, তার শরীরে সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তারা ধারণা করছেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর ‘ব্লান্ট ট্রমায়’ নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। ব্লান্ট ট্রমা হলো— কোনো কিছুর আঘাতে শরীরের বাইরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না। কিন্তু শরীরের ভেতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শুক্রবার হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ওই সময় সেখানে ছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে প্যারিসিয়েন জানিয়েছে, এই বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ইরানি গুপ্তচর ইসরায়েলকে জানায়, শুক্রবার বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাসরুল্লাহ। তিনি যখন মাটির নিচে অবস্থিত সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন তার কিছুক্ষণ পরই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। যা হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে ধসিয়ে দেয়।