বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ৬ষ্ঠ শ্রেনির স্কুলছাত্র শহীদ জুনায়েদ ইসলাম রাতুলের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ রাতুলের পিতা জিয়াউর রহমানের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। জেলা প্রশাসক এসময় শহীদের পিতাকে শান্তনা দিয়ে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ছোট্র রাতুল এখন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সে শুধু বগুড়ার নয়, গোটা দেশের সম্পদ। রাতুলের মত সোনার টুকরোদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সবাই মিলে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি শহীদ রাতুলের খুনিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রতি দেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেজবাউল করিমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও শহীদ রাতুলের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন বিকেলে বিজয় মিছিল নিয়ে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথার দিকে আসার সময় বড়গোলা এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় স্কুলছাত্র রাতুল।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। ঢাকার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে প্রথম জানাযা শেষে মঙ্গলবার লাশ বগুড়ায় আনা হয়।
সকালে সরকারি মুস্তাফাবিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে রাতুলের দ্বিতীয় জানাযা শেষে নামাজগড় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।