আগামী নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মোট পুরস্কার তহবিল নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৯৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ২.৪৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২২৫ শতাংশ বেশি। এই টুর্নামেন্টের বিজয়ীরা পাবেন ২.৩৪ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শিরোপা জয়ী অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্ত ১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বেশি। রানার্স-আপ দল পাবে ১.১৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৫০০,০০০ ডলারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল প্রত্যেকেই পাবে ৬৭৫,০০০ ডলার—যা ২০২৩ সালের ২১০,০০০ ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। গ্রুপ পর্যায়ে প্রতিটি ম্যাচ জয়ে দলগুলো পাবে ৩১,১৫৪ ডলার, এবং যারা সেমি-ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের মধ্যে ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার ভাগ করে দেওয়া হবে তাদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী।
আইসিসি ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রার সাত বছর আগেই এই সমান পুরস্কার অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নারীদের ক্রিকেটকে পুরুষদের সমকক্ষ করতে একটি বড় পদক্ষেপ। পুরুষ ও নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সমান পারফরম্যান্সের জন্য সমান পুরস্কার অর্থ প্রদান করা হবে। তবে পুরুষদের ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরস্কার তহবিল কিছুটা বেশি ছিল কারণ সেখানে অতিরিক্ত ১০টি দল এবং ৩২টি ম্যাচ বেশি থাকবে।
আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২২-এর পুরস্কার তহবিলও বেড়ে ৩.৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পর এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়।