ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাজাহানপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে গোহাইল বিদ্যালয় ও কলেজের পরীক্ষা স্থগিত

বগুড়া শাজাহানপুরের গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে পরিক্ষা শুরুর ১৪ মিনিট পূর্বে পরিক্ষা স্থগিতের নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।২৯ জনু শনিবার ৯.৪৬ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আলী ইমাম ইনোকি ও অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুলের যোগসাজসে মাধ্যমিক ও কলেজের স্তরের ৮ টি পদের জন্য কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দ্বায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(আইসিটি ও শিক্ষা) মোঃ আরাফাত হোসেন স্বাক্ষারিত এক চিঠিতে  জানানো হয় উক্ত নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও আর্থিক লেনদেনের একটি অভিযোগ রয়েছে।এই মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশিত হয়।উক্ত অডিও রেকর্ডের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার, বগুড়া কে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাড়া উক্ত নিয়োগ কে কেন্দ্র করে গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে।তাই গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির আদেশটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিতের পর দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয়ে ও কলেজের অধ‍্যক্ষ মোতাহার হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে বলেন,আমার ও সাবেক সভাপতি বর্তমান গোহাইলা ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যকার তথাকথিত কল রেকর্ড প্রকাশ করা হইয়াছে, যাহা ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট।আমি এই যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর ভয়েস কল রেকর্ডের বিরুদ্ধে তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।তিনি আরো বলেন আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কোন নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিধিবহির্ভূত কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়।প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি  আলী আতোয়ার তালুকদার (ফলু) সভাপতি হওয়ার জন্য আমাকে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিল কিন্তু তার বায়োডাটা,জীবন বৃত্তান্ত না পাওয়ায় তারনাম বোর্ডে প্রেরন করা সম্ভব হয় নাই।বিধায় সে সভাপতি হতে পারেননি এই জন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যার জলন্তপ্রমান এই কল রেকর্ড।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বলেন,অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।কিছু কুচক্রী মহল আমার ও প্রতিষ্ঠানের মান অক্ষুন্ন করতে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে পরিক্ষা স্থগিত করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক প্রতিনিধি দল

শাজাহানপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে গোহাইল বিদ্যালয় ও কলেজের পরীক্ষা স্থগিত

আপডেট সময় ১১:৩০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

বগুড়া শাজাহানপুরের গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে পরিক্ষা শুরুর ১৪ মিনিট পূর্বে পরিক্ষা স্থগিতের নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।২৯ জনু শনিবার ৯.৪৬ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আলী ইমাম ইনোকি ও অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুলের যোগসাজসে মাধ্যমিক ও কলেজের স্তরের ৮ টি পদের জন্য কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দ্বায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(আইসিটি ও শিক্ষা) মোঃ আরাফাত হোসেন স্বাক্ষারিত এক চিঠিতে  জানানো হয় উক্ত নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও আর্থিক লেনদেনের একটি অভিযোগ রয়েছে।এই মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশিত হয়।উক্ত অডিও রেকর্ডের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার, বগুড়া কে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাড়া উক্ত নিয়োগ কে কেন্দ্র করে গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে।তাই গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির আদেশটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিতের পর দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয়ে ও কলেজের অধ‍্যক্ষ মোতাহার হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে বলেন,আমার ও সাবেক সভাপতি বর্তমান গোহাইলা ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যকার তথাকথিত কল রেকর্ড প্রকাশ করা হইয়াছে, যাহা ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট।আমি এই যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর ভয়েস কল রেকর্ডের বিরুদ্ধে তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।তিনি আরো বলেন আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কোন নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিধিবহির্ভূত কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়।প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি  আলী আতোয়ার তালুকদার (ফলু) সভাপতি হওয়ার জন্য আমাকে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিল কিন্তু তার বায়োডাটা,জীবন বৃত্তান্ত না পাওয়ায় তারনাম বোর্ডে প্রেরন করা সম্ভব হয় নাই।বিধায় সে সভাপতি হতে পারেননি এই জন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যার জলন্তপ্রমান এই কল রেকর্ড।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বলেন,অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।কিছু কুচক্রী মহল আমার ও প্রতিষ্ঠানের মান অক্ষুন্ন করতে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে পরিক্ষা স্থগিত করা হয়।