ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ‘ডাক’ মারার রেকর্ড বাংলাদেশের

আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে। এর আগে হওয়া আট আসরে হয়েছে অনেক রেকর্ড। কেউ তাতে উঠেছে চূড়ায়, কেউ ডুবেছে হতাশায়। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বিশ্বকাপে এমন কিছু পরিসংখ্যান আছে যা বেশ চমকপ্রদ। দেখে নিন অংশ নিতে যাওয়া টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিশ্বকাপের যত মজার রেকর্ড।

পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর কোন দল যেখানে ত্রিশটির বেশি নো বল করেনি, পাকিস্তানের বোলাররা সর্বোচ্চ ৪৬টি নো বল করেছেন। সবমিলিয়ে অতিরিক্ত রানও সবার থেকে বেশি পাকিস্তানের বোলাররাই দিয়েছেন, ৩৯৯!

ভারত

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২২১টি ছক্কার মার পড়েছে ভারতের বোলারদের উপর।

কোনও ম্যাচে দলের তিনজন ব্যাটার পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছেন, বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র দল যারা এমন কিছু দেখেছে একের অধিকবার ঘটতে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর ভারতের ব্যাটাররা তা করেছেন গেল বিশ্বকাপে ডাচদের বোলিংয়ে।

শ্রীলঙ্কা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ওয়াইড দিয়েছে শ্রীলঙ্কা, ব্যাটিংয়ের সময় সবচেয়ে বেশি ওয়াইড পেয়েছেও তারা। বোলিংয়ে লঙ্কান বোলাররা যেখানে ২২২ ওয়াইড দিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন ২৩১ ওয়াইড।

বিশ্বকাপে অন্তত তিনবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কার। লঙ্কানদের চারজনের পেছনে তিনজন করে আছে ভারত, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ডাক মেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, বাংলাদেশের ৪৪ ডাকের পেছনে আর একমাত্র শ্রীলঙ্কার আছে ৪০টির বেশি ডাক। লঙ্কানদের ডাক সংখ্যা ৪১।

অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৩০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা একমাত্র দল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের কোন ব্যাটার এখনও সেঞ্চুরির মুখ দেখতে পারেননি।

আফগানিস্তান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোন ম্যাচে একটা দল তাদের সবকটি উইকেট হারিয়েছে ক্যাচ তুলে, এমনটা হয়েছে মাত্র একবারই। ২০২২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা সবাই বিদায় নিয়েছিলেন ক্যাচ আউট হয়ে।

ইংল্যান্ড

প্রতিপক্ষের কোন বোলারের থেকে ম্যাচে অন্তত ৫০ রান এনেছেন সাতবার ইংলিশ ব্যাটাররা। আর কোন দল তা করতে পারেনি পাঁচবারের বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

নিউজিল্যান্ড

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের যত ক্রিকেটার ম্যাচসেরা হয়েছেন, তার থেকে বেশি আর কোন দলেরই হননি। ভিন্ন ভিন্ন ১৮ জন কিউই বিশ্বকাপে একবার হলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন। ১৮ জন ভিন্ন ম্যাচসেরা নিয়ে তাদের সঙ্গে আছে অবশ্য পাকিস্তানও।

দক্ষিণ আফ্রিকা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওয়াইড দেওয়ার ঘটনা দুটি। দুটিতেই জড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা- একবার তারা পেয়েছে, আরেকবার দিয়েছে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা পেয়েছিল ২৩টি ওয়াইড। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের আবার তারাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দিয়ে বসে ২০টি ওয়াইড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এক ম্যাচে কোন একটি দলের কতজন বোলার উইকেটের খাতায় নাম লেখাতে পারেন? উত্তর হচ্ছে সাতজন। বিশ্বকাপের রেকর্ড বটে, এমনিতেও টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তা ঘটেছে মাত্র একবারই। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান সাত বোলার হাত ঘুরিয়েছিলেন, প্রত্যেকেই নিয়েছেন অন্তত একটি উইকেট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ‘ডাক’ মারার রেকর্ড বাংলাদেশের

আপডেট সময় ০১:৪৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে। এর আগে হওয়া আট আসরে হয়েছে অনেক রেকর্ড। কেউ তাতে উঠেছে চূড়ায়, কেউ ডুবেছে হতাশায়। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বিশ্বকাপে এমন কিছু পরিসংখ্যান আছে যা বেশ চমকপ্রদ। দেখে নিন অংশ নিতে যাওয়া টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিশ্বকাপের যত মজার রেকর্ড।

পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর কোন দল যেখানে ত্রিশটির বেশি নো বল করেনি, পাকিস্তানের বোলাররা সর্বোচ্চ ৪৬টি নো বল করেছেন। সবমিলিয়ে অতিরিক্ত রানও সবার থেকে বেশি পাকিস্তানের বোলাররাই দিয়েছেন, ৩৯৯!

ভারত

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২২১টি ছক্কার মার পড়েছে ভারতের বোলারদের উপর।

কোনও ম্যাচে দলের তিনজন ব্যাটার পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছেন, বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র দল যারা এমন কিছু দেখেছে একের অধিকবার ঘটতে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর ভারতের ব্যাটাররা তা করেছেন গেল বিশ্বকাপে ডাচদের বোলিংয়ে।

শ্রীলঙ্কা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ওয়াইড দিয়েছে শ্রীলঙ্কা, ব্যাটিংয়ের সময় সবচেয়ে বেশি ওয়াইড পেয়েছেও তারা। বোলিংয়ে লঙ্কান বোলাররা যেখানে ২২২ ওয়াইড দিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন ২৩১ ওয়াইড।

বিশ্বকাপে অন্তত তিনবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কার। লঙ্কানদের চারজনের পেছনে তিনজন করে আছে ভারত, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ডাক মেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, বাংলাদেশের ৪৪ ডাকের পেছনে আর একমাত্র শ্রীলঙ্কার আছে ৪০টির বেশি ডাক। লঙ্কানদের ডাক সংখ্যা ৪১।

অস্ট্রেলিয়া

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৩০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা একমাত্র দল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের কোন ব্যাটার এখনও সেঞ্চুরির মুখ দেখতে পারেননি।

আফগানিস্তান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোন ম্যাচে একটা দল তাদের সবকটি উইকেট হারিয়েছে ক্যাচ তুলে, এমনটা হয়েছে মাত্র একবারই। ২০২২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা সবাই বিদায় নিয়েছিলেন ক্যাচ আউট হয়ে।

ইংল্যান্ড

প্রতিপক্ষের কোন বোলারের থেকে ম্যাচে অন্তত ৫০ রান এনেছেন সাতবার ইংলিশ ব্যাটাররা। আর কোন দল তা করতে পারেনি পাঁচবারের বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

নিউজিল্যান্ড

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের যত ক্রিকেটার ম্যাচসেরা হয়েছেন, তার থেকে বেশি আর কোন দলেরই হননি। ভিন্ন ভিন্ন ১৮ জন কিউই বিশ্বকাপে একবার হলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন। ১৮ জন ভিন্ন ম্যাচসেরা নিয়ে তাদের সঙ্গে আছে অবশ্য পাকিস্তানও।

দক্ষিণ আফ্রিকা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওয়াইড দেওয়ার ঘটনা দুটি। দুটিতেই জড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা- একবার তারা পেয়েছে, আরেকবার দিয়েছে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা পেয়েছিল ২৩টি ওয়াইড। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের আবার তারাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দিয়ে বসে ২০টি ওয়াইড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এক ম্যাচে কোন একটি দলের কতজন বোলার উইকেটের খাতায় নাম লেখাতে পারেন? উত্তর হচ্ছে সাতজন। বিশ্বকাপের রেকর্ড বটে, এমনিতেও টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তা ঘটেছে মাত্র একবারই। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান সাত বোলার হাত ঘুরিয়েছিলেন, প্রত্যেকেই নিয়েছেন অন্তত একটি উইকেট।