ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ জন Logo আ. লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ,এক নারী সদস্য আটক Logo জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি Logo দূর্নীতির অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান Logo “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসে নাট্যতরীর ‘মূকনাটক: জুলাই’ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo জমকালো আয়োজনে জবিতে সমাপ্ত হলো জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ Logo জকসু ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজের দায়সারা উত্তর,প্রতিকী প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদে Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতির অঙ্গীকার সিইসির Logo জাতীয় স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: তারেক রহমান Logo বামপন্থিদের মব সন্ত্রাস ও অসংলগ্ন স্লোগানের প্রতিবাদ জানাল ছাত্রশিবির

এই বয়সেও আমাকে হাজিরা দিতে হচ্ছে: ড. ইউনূস

আমরা একটা দুর্যোগের মধ্যে আছি। নিজের মতো করে কাজকর্ম করতে পারছি না, এ বয়সেও মামলায় প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার পর জামিন নিতে এসে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।

এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সারাবিশ্ব তা দেখছে।

এদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিরা।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আজই শেষ হচ্ছে তার জামিনের সময়কাল। সে কারণে নতুন করে জামিন নিতে আজ তিনি আবারও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এসেছেন।

এ মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ জন

এই বয়সেও আমাকে হাজিরা দিতে হচ্ছে: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০২:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

আমরা একটা দুর্যোগের মধ্যে আছি। নিজের মতো করে কাজকর্ম করতে পারছি না, এ বয়সেও মামলায় প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার পর জামিন নিতে এসে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।

এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সারাবিশ্ব তা দেখছে।

এদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিরা।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আজই শেষ হচ্ছে তার জামিনের সময়কাল। সে কারণে নতুন করে জামিন নিতে আজ তিনি আবারও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এসেছেন।

এ মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।