চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশেীকে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও বৈঠকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, প্রশাসনে দলীয়করণ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে মহানগরীর হলরুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান ও মুহাম্মদ শামছুর রহমান। মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, আব্দুর রহমান, কামরুল আহসান হাসান, সৈয়দ সিরাজুল হকসহ মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন জোন পরিচালক ও মজলিসে শূরা সদস্যবৃন্দ এবং থানা আমিররা।
বৈঠকে বক্তরা বলেন, ‘হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া মানবতার চরম লঙ্ঘন এবং পৃথিবীর ইতিহাসে ভারত নিজেদেরকে নিকৃষ্ট বর্বর জাতি হিসেবে প্রমাণ করেছে। বক্তরা এই ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্তে আর কোনো হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না, যাবে না।’
উল্লেখ্য, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক হত্যার শিকার রিংকু শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের গাইপাড়া গ্রামের মরহুম মজিবুর রহমানের ছেলে এবং মমিন আলী পাঁকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।







