আমি নেতা হতে আসিনি। আমাকে এখানে পাঠানো হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে খাদেম হওয়ার জন্য। আমি আপনাদের খাদিম হিসেবে খেদমত করব বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের জামায়াত প্রার্থী ও সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলা জামায়াতের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
অলিউল্লাহ নোমান বলেন, আপনারা যদি দাঁড়িপাল্লাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি মাধবপুর-চুনারুঘাটকে আধুনিকায়ন করার জন্য যত রকমের উদ্যোগ নেওয়া দরকার আপনাদের সাথে নিয়ে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ফ্যাসিবাদ লড়াই করতে গিয়ে আমার জীবন এমনতেই বিসর্জন দেওয়ার মত অবস্থায় ছিল। এলাকার মানুষের সাথে কাজ করতে গিয়ে যদি আমার জীবনও দিতে হয় তাতেও আমি কৃপণতা করব না।
তিনি বলেন, জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় পরিষদ থেকে আমাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এখানে নির্বাচন করার জন্য। আমি জানতাম আমার শিক্ষক জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমান এই আসন চষে বেড়িয়েছেন প্রার্থী হিসেবে। তিনি আমাকে সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন করারর জন্য। গত পরশুদিন আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নোমান বলেন, ৫৪ বছরের বাংলাদেশে অনেক ধরনের সরকার আমরা দেখি। এই যে পরিমাণ লুটপাট ও সন্ত্রাস হয়েছে কোনো সরকারই এইগুলো দূর করতে পারেনি। গত ১৫ বছর শাসন ছিল ফ্যাসিবাদের শাসন ভারতীয় আদিপত্যবাদের অনুকূলে একটা শাসন। সেই শাসনকে দূর করতে আমাদেরকে লড়াই করতে হয়েছে। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বহু প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আপনাদেরকে বেছে নিতে হবে এমন একটি দলের নীতি আদর্শ এক অনন্য ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশে। তার নাম জামায়াতে ইসলামী।
তিনি আরও বলেন, আগামীকে বাংলাদেশ হবে একটি দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের বাংলাদেশ।
এই মতবিনিময় সভায় উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইদ্রিছ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।







