বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার লামার সদর ইউনিয়নের মেওলারচর জামে মসজিদে কুরআন তালীম চলাকালে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার দাবি জানিয়ে লামা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মোঃ আজিজুল হক (২০)।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের লামা উপজেলা অর্থ সম্পাদক ও লামা সদর ইউনিয়ন সভাপতি। শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪টা ৩০ মিনিটে তাঁর পরিচালনায় মেওলারচর জামে মসজিদে কুরআন তালীম প্রোগ্রাম শুরু হলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অভিযুক্তরা মসজিদে প্রবেশ করে গালিগালাজ ও প্রোগ্রাম বন্ধ করার হুমকি দেয়।
জিডি অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন-*মোসলেম উদ্দীন (২৭), সাকিল (২৬), দানু মিয়া (৪০), কেরামত আলী (৩৩), জাহাঙ্গীর আলম (৩২)*; সকলেই মেওলারচর এলাকার বাসিন্দা। আবেদনকারী দাবি করেন, এসব ব্যক্তি ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী’ এবং স্থানীয়ভাবে দাঙ্গাহাঙ্গামায় জড়িত।
জিডিতে বলা হয়, দ্বিতীয় নম্বর অভিযুক্ত প্রথমে একা এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তালীম বন্ধ করার হুমকি দেয়। এ সময় উপস্থিত প্রধান অতিথি তাকে শান্ত হতে অনুরোধ করলেও অভিযুক্ত তা শোনেনি। পরে সে অন্যান্য অভিযুক্তদের ডেকে এনে আবেদনকারীসহ অংশগ্রহণকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আবেদনকারীর দাবি, হামলাকারীরা কিল-ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে তাদের নীলাফুলা জখম করে। এতে তিনি ও আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলার সময় অভিযুক্তরা ইট ও বড় লাঠি নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে— “মেরে ফেলবে, কেটে ফেলবে, লাশ গুম করে দেবে।”
ঘটনার পর ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান আবেদনকারী।
লামা থানা পুলিশ এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য দেয়নি।







