যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিভিন্নস্থান ঘুরে বাড়তি নিরাপত্তা চোঁখে পড়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনার পর থেকে রাজধানীজুড়ে অনেকটাই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফার্মগেট এলাকায় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার, কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং ধানমন্ডি এলাকায় ছায়ানট ভবনে বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নগরীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ছায়ানট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক উপস্থিতি দেখা গেলেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর কিংবা শাহবাগ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি। ছায়ানটের সামনে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খলিলুর রহমান বলেন, সকাল থেকে আমরা এখানে দায়িত্বে আছি। সকাল থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। দুপুরে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর একদল বিক্ষোভকারী বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক সংবাদকর্মী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
হামলাকারীদের থামাতে রাতে ডেইলি স্টার ভবনের সামনে গিয়ে একদল ব্যক্তির হাতে নাজেহাল হন নিউ এইজ সম্পাদক ও সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি নূরুল কবীর। এসময় তাকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। দেশে চিকিৎসার পর গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে খবর আসে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।







