বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগে মামলা করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল। একই সঙ্গে সংগঠনটি বলছে, এ মামলা বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত ও হয়রানিমূলক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, সাদিক কায়েম যে অভিযোগ এনে কতিপয় ফেসবুক আইডি ও পেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তা সাইবার সুরক্ষা আইন বা অন্য কোনো বিদ্যমান আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। ছাত্রদলের দাবি, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই এই মামলার উদ্দেশ্য।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগের ‘ফ্যাসিবাদী আমলের’ সাইবার আইন বাতিল করে মতপ্রকাশের পথ উন্মুক্ত করেছে, সেখানে সাদিক কায়েম ‘শেখ হাসিনার ধারা অনুসরণ করে’ আইনের অপব্যবহার করছেন। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৮ ধারায় উল্লেখ আছে-কেউ জেনেশুনে মিথ্যা মামলা করলে সেই অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে অভিযোগকারী দণ্ডিত হবেন।
ছাত্রদলের দাবি, সাদিক কায়েম অতীতেও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
ছাত্রদল অভিযোগ করে, মামলার মাধ্যমে শুধু ট্রল ও মিম পেজ নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভিন্ন মতাবলম্বীদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে।
এটি ছাত্রশিবিরের ‘অসহিষ্ণুতা’ ও ‘সন্ত্রাসী মানসিকতার বর্হিপ্রকাশ’। এ ছাড়া ডাকসুর ভিপি পদে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করা ‘ন্যক্কারজনক ও নজিরবিহীন’ বলেও মনে করছে ছাত্রদল।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সাদিক কায়েমকে মামলা প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করার আহ্বান জানান।







