খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির খুলনা জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান। প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণার সময় খুলনার ছয়টির আসনের মধ্যে এই আসনে ফাঁকা রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুলনাসহ স্থগিত থাকা ৩৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বদল করে কৃষ্ণ নন্দীর নাম ঘোষণা করেছে।
প্রার্থী ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আমীর এজাজের সমর্থক ও দলের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই খণ্ড খণ্ড আনন্দমিছিল, নেতাকর্মীদের মিষ্টি বিতরণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানানো হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ছাড়াও একাধিক প্রার্থী গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন। তাদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান পাপুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি পার্থ দেব মন্ডল।
তারা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার এ আসনটিতে চূড়ান্ত হলেন আমীর এজাজ খান। তিনি এর আগে এ আসনে একাধিক জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলেও পরাজিত হন।
অপরদিকে প্রায় ১০ মাসের ব্যবধানে বুধবার খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী পরিবর্তন করেছে।
ওই আসনের প্রার্থী করা হয়েছে জামায়াতের ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে। গত ১ ডিসেম্বর খুলনায় ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে এসে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এ সিদ্ধান্ত দেন। পর বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকে এটি আলোচিত হয় এবং ওই সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। ওই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা আবু ইউসুফ।
মনোনয়ন প্রাপ্তি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান।
তিনি দল ও নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আসনটিকে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করা হবে।







