শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে ভারত। ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ দেশে নাশকতার নানা ধরনের পরিকল্পনা করছে। সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। শনিবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এই ধরনের পরিবেশকে আমরা কিভাবে একত্রে মোকাবিলা করব এবং সেটার জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন, সেটা যাতে অটুট থাকে। ব্যক্তির সাথে বা একজন প্রার্থীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা না, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনাও না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্র ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। একে অন্যের বিরুদ্ধে হয়তো কথা বলব। কিন্তু সেটা যাতে কখনোই একটা সীমাকে অতিক্রম না করে এবং আওয়ামী লীগকে যাতে কোনো সুযোগ সুবিধা করে না দেয়। এ ব্যাপারে আমরা সকলেই একমত পোষণ করেছি।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান যেভাবে পরিকল্পিতভাবে ভিলিফাই করা হচ্ছে মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় টকশোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে আসার একটা স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়া, একটা নরমালাইজিং প্রসেস দেখতে পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখছি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা গোপন মিটিং করার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা কোর্ট পাড়ায় দেখতে পাচ্ছি যে জয় বাংলা স্লোগান হচ্ছে। আমরা টকশোতে দেখছি এরকম আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজীবীরা আসছে। আমরা ভোটের মাঠে দেখছি যে জাতীয় পার্টিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটা একটা পরিকল্পিত আয়োজন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসিত করা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবে। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিভিত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির মাঠে আনার চেষ্টা করছে এটার বিরুদ্ধে আমাদের সকল দলকে তৎপর হতে হবে।
এনসিপির এ নেতা বলেন, আগস্টের আগে ভারত আওয়ামী লীগকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবসময় হস্তক্ষেপ করেছে ভারত। সরকারকে আমরা বলেছি যে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক রাখতে হলে এই ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।







