সরকার পরিবর্তনের পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এখনো দেখা যাচ্ছে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ছবি। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নামও আছে বহাল তবিয়তে।
বর্তমানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা (মন্ত্রী পদ মর্যাদা) হিসেবে দায়িত্বে আছেন নুরজাহান বেগম। ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ডা. সামন্ত লাল সেন।
কিন্তু ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার’-এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে দেখা যায়, এখনও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের নাম লেখা আছে, যিনি ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছিলেন এই পদে।
ওয়েবসাইটে শুধু জাহিদ মালেকই নন, আরও কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তার নামও রয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে এখনও আছেন ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমকে। তারা সবাই এখন সাবেক কর্মকর্তা।
আরও বিস্ময়ের বিষয় হলো, প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের কভার ছবিতেও আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি ভারতে পালান।
আগারগাঁওয়ের এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের রোগনির্ণয় সেবা দিয়ে থাকে। এখান থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় রোগ নির্ণয়ের জন্য।
জাহিদ মালেক ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। (যুগান্তর রিপোর্ট)







