সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খাঁন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ অংশে তিন ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে অবশেষে মোটরসাইকেলে চড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছান।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে তিনি বিশ্বরোড এলাকায় নাজুক মহাসড়কটির বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে উপদেষ্টা সকালে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে ভৈরবে আসেন। পরে সড়কপথে আশুগঞ্জে পৌঁছে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আশুগঞ্জ হোটেল উজান ভাটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোডের উদ্দেশে রওনা হন।
এর পথে আশুগঞ্জের সোহাগপুর, সোনারামপুর ও সরাইলের বেড়তলা এলাকায় তীব্র যানজটে তিন ঘণ্টা আটকা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে চড়ে তিনি বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছে মহাসড়কটির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খাঁন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে তা মূলত ট্রাফিক বিভাগের গাফিলতির কারণে। এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব, যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
তিনি আরও জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকায় একটি উড়ালসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের ডিজাইন প্রণয়নসহ সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি ঘোষণা দেন যে, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঢাকায় না বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে বা অফিসে উপস্থিত না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি সাময়িক বরখাস্তও করা হতে পারে।
রেলপথে অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সড়কপথের যানজটের কারণে রেলপথে চাপ বেড়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সংকটের সমাধান করা হবে।
পরিদর্শনকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকসহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।







