বগুড়া শাজাহানপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় মৃত্যু বরন করেন যুবদল নেতা ফোরকান আলী।দাফনের প্রায় ১১ মাস পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে এলে পরিবার আপত্তি জানায়।
পরিবারের লোকজনের দাবী, মৃত ফোরকান আলী দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ ছিলো।পূর্ব থেকে তিনি হ্রদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন।তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।এ ঘটনায় কে বা কারা মামলা করেছে তা জানে না পরিবার।
ফোরকানের বাবা মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন,আমার ছেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।যে মামলাটি হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।যে মামলা করেছে তাকে চিনিনা।শুধু একজন সাক্ষীকে চিনি।তারা তাদের পরিবারের সাথে পরামর্শ না করে মামলা করেছে।যেহেতু মামলাটি মিথ্যা,তাই লাশ তুলতে দিবনা।
এর আগে গত ২০২৩ সালে শাজাহানপুরের ফটকি ব্রিজ এলাকায় হরতাল সমর্থনে মিছিলের সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় এ যুবদল নেতা ফোরকান আলীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে।সে সময় বিএনপি নেতাদের দাবি ছিলো,ফটকি ব্রিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে হঠাৎ পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।সে সময় পুলিশের লাঠি চার্জে মিছিলটি ছত্র ভঙ্গ হয়।ফুরকান আলী দৌড়াতে গিয়ে ঘটনার স্থলে পড়ে মৃত্যু বরন করেন।
পরবর্তীতে শাজাহানপুর খোট্টাপাড়া যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ইউনুস আলী হলুদ
বাদী হয়ে ১৬০ জনের নামে মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করেছেন,আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর সকালে শাজাহানপুরের ফুলতলা মাদ্রাসা মাঠ থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করা হয়। মিছিল উপজেলার দিকে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২০০-৩০০ অজ্ঞাতনামা আসামি হামলা করে।আসামি নুরুজ্জামান গুলি ছুড়লে ফোরকান আলীর বুক ও পেটে লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আসামিরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি ও ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। রক্তাক্ত যুবদল নেতা ফোরকান আলীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া জেলা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাদমান আকিফ বলেন,আদালতের নির্দেশে লাশ তুলতে এসেছিলাম।পরিবারের লোকজন সময় চেয়েছে।তারা মামলার পক্ষভূক্ত না।আদালতে মামলার পক্ষভূক্ত হবার আবেদন করবেন।পরিবারে সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে এ কার্যক্রম পরিচলনা করা হবে।