ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পিয়াস সমন্বয়কারী, অশ্রু ও নুসরাত যুগ্ম সমন্বয়কারী Logo পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার-৩ Logo ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধু হওয়ার আহ্বান বিএনপির Logo মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ১১১ জন Logo ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো’ Logo নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল আছে: অর্থ উপদেষ্টা Logo ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছি: আসিফ মাহমুদ Logo সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি Logo ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ Logo ‘ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে’

ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা!

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • 343

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা!

৫ আগস্টের আগে অনেকেই কোনো কর্মসূচিতে ছিলেন না
ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তদন্ত কমিটি
সদ্য ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২৪২ সদস্যের এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একাধিক নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী এক নারী শিক্ষার্থী।

বিএনপির এই অঙ্গ সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়নি। নতুনদের নিয়ে পকেট কমিটি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। এই কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মাহাদী ইসলাম নিয়ন। তিনি শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদের অনুসারী। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিভিন্ন ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

রাতের পূর্বাচলে ছিনতাই-হত্যারাতের পূর্বাচলে ছিনতাই-হত্যা
এছাড়া বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. বজলুর রহমান বিজয় পেয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়া কাজী শাকিব মিয়া ও সাইফুল ইসলাম রিমন, সদস্য পদ পাওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রায়হান হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

জুলাই-আগস্টে বিচার বহির্ভূত হত্যা ১৫৮১ জন

অধিকারের প্রতিবেদন
-আহত ১৮ হাজারের বেশি
-৫৫০ জনের চোখ নষ্ট
গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৫৮১টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ৫৫০ জনের। গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। তারা বলছে, এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন দমনের নামে সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ। হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুম, গ্রেফতার এবং গ্রেফতারের পর নির্যাতন চালানো হয় অসংখ্য আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই আন্দোলনকে বিগত সরকার কঠোর হাতে দমন করার নামে তার সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করার জন্য ব্যবহার করা হয় জাতিসঙ্ঘের নামযুক্ত সাঁজোয়া যানও। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এই সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এতে শিশুসহ ১৫৮১ জন নিহত, ১৮ হাজারের বেশি আহত হন। তাদের মধ্যে ৫৫০ জনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা আরো বেশি।

প্রথম আলো:

খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ গুম
কেউ মারা গেলে অথবা কাউকে হত্যা করা হলে তার লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদেরও ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা সম্পদের উত্তরাধিকার লাভ করেন। তবে গুমের শিকার হলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগী বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, শুধু এই তথ্যটুকু না পাওয়াটা প্রতিমুহূর্তে তাঁদের কুরে কুরে খায়। গুমের এমন ঘটনাগুলো খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ।

গতকাল শুক্রবার এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টিয়ার ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেসের (এএফএডি) অষ্টম কংগ্রেসে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের হোটেল বেঙ্গল ক্যানারি পার্কে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সহযোগিতায় এই কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়। অধিকারের সভাপতি অধ্যাপক সি আর আবরারের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন। গুমের শিকার ব্যক্তির স্বজনেরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যখন গুম হওয়া মানুষগুলোর ছবির দিকে তাকাই, তখন আমি আপনাদের বেদনা বুঝতে পারি। আমরাও তো মানুষ। আপনারা যাঁরা স্বজনদের ছবি নিয়ে এসেছেন, আমি দেখি আর ভাবি, আমার বাচ্চাটা গুম থাকলে আমার কী অবস্থা হবে। আমি যদি গুম হই, আমার স্ত্রীর কী অবস্থা হবে, আমার মায়ের কী অবস্থা হবে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এগুলো চিন্তা করলে মনে হয়, যারা গুমের নির্দেশ দেয়, গুমের চিন্তা করে, আমার মনে হয় তাদের পরিবারগুলোকেও আমরা এমন অনুষ্ঠানগুলোয় নিয়ে আসি। তারা দেখুক, তাদের পিতা, সন্তান বা ভাইয়েরা কী করেছে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ গুম। একটা মানুষ মারা গেলে তো জানা যায়, তার মরদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু এটা কী যে দুঃসহ যন্ত্রণা! একজন মানুষ জানে না যে তার স্বজন কি বেঁচে আছে, নাকি নেই। আমরা গুম হওয়া পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অবশ্যই ভাবব।’

যুগান্তর:

রেন্টালে ‘কুইক’ লুটপাট ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লাখ কোটি টাকা লোপাট
বিদ্যুৎ সংকটকে পুঁজি করে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের একটি সিন্ডিকেট গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় করেছে ৩ লাখ কোটি টাকা। এ সময়ে শুধু রেন্টাল-কুইক-রেন্টালের আড়ালে অস্বাভাবিক দরে বিদ্যুৎ কেনার নামে লুটপাট আর পাচার করা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অলস বসিয়ে রেখে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গুনেছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ। যার পুরোটাই হয়েছে লুটপাট। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর নামে রেন্টাল-কুইক-রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে। ২০১০ সালে বিনা টেন্ডারে দায়মুক্তি আইন বা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে তিন বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। কোনোটি চলছে ১০ বছর, আবার কোনোটি এখনো চলছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

উচ্চ সুদে বিপর্যস্ত ব্যবসা
একসময়ের ঋণের ৯ শতাংশ সুদ এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। দাম বাড়ার পরও চাহিদামতো জ্বালানি মিলছে না। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমেছে – মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি
কয়েক দফায় ঋণের সুদহার বাড়ানোয় ব্যবসাবাণিজ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছে। খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় থমকে গেছে বিনিয়োগ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ঋণের সুদহার বাড়ানো হলেও বাংলাদেশে বাড়ানো হয় শিল্পঋণের। ফলে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পকারখানায় হামলা, ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে অনেক কারখানার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আগস্টের পর নীতিসুদহার বেড়েছে তিনবার, বর্তমানে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ। এর ফলে ঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমে উৎপাদনকারীদের বিক্রিতে ধস নেমে ঋণ পরিশোধে চাপ তৈরি হয়েছে। সুদহার বেড়ে যাওয়ায় এর সরাসরি আঘাত পড়ছে কর্মসংস্থানে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে ‘সংকট’ বাড়ছে। এর ধাক্কা লাগছে কর্মহীন হয়ে পড়া বা উচ্চমূল্যের বাজারে খাপ খাওয়াতে না পারা কম বা সীমিত আয়ের মানুষের ওপর। অথচ মূল্যস্ফীতি কমানোর যে লক্ষ্য নিয়ে রেপো হার বাড়ানো হচ্ছে, সেই মূল্যস্ফীতি এখনো রয়ে গেছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এ ছাড়া সংকুচিত হয়েছে কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা। আগে একজন গ্রাহক ছয়টি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে খেলাপি হতো। গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি কিস্তি পরিশোধ না করলে খেলাপি করার বিধি কার্যকর হয়েছে। এতে আবার আগামী বছরের মার্চ থেকে একটি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেই খেলাপি হবে। এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার লড়াই করছেন ব্যবসায়ীরা।

কালের কন্ঠ:

শিক্ষাঙ্গনে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি
আমাদের দেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। এই খাতে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। নানা ইস্যুতে প্রায়ই আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে তারা সড়কে নামছে।

একাধিকবার সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়েছে। এমনকি শিক্ষা প্রশাসন এখনো ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়নি। ফলে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায়ও তেমন পরিবর্তন আসেনি। এভাবে শিক্ষাঙ্গনের সর্বত্র অস্থিরতা চলছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজনরা বলছেন, আন্দোলনসহ নানা কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষার গুণগত মানে জোর না দিলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে। তাঁদের প্রত্যাশা, সরকার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে শিক্ষার সব ক্ষেত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুলনা ব্যুরো ও বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক ও এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে রাজনৈতিকভাবে কবর দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐকমত্যে পৌছাতে হবে। এখন জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই। গতকাল শুক্রবার বাগেরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাগেরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান ও মাস্টার শফিকুল আলম। সম্মেলনে জেলা নায়েবে আমীর এডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদূদ, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, মো. মিজানুর রহমান মল্লিক, এডভোকেট মুস্তাইন বিল্লাহ, মঞ্জুরুল হক রাহাত, অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, ছাত্রশিবিরের বাগেরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথি সেক্রেটারি জেনারেল বাগেরহাট জেলার ২০২৫-২৬ সেশনের নবনির্বাচিত জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিমের শপথ বাক্য পাঠ করান।

 

প্রধান অতিথি সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, সমাজ পরিবর্তনের মহান দায়িত্ব নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের ছাত্র-জনতার যে আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, সে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশের বিনির্মাণ দৃঢ রাখার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বর্তমানে জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

উপদেষ্টা পরিষদের নিয়োগের ব্যাপারে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গণআকাক্সক্ষার চাহিদা অনুযায়ী আপনাদের সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই গণআকাঙ্খাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। আলেম- ওলামাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান না দেওয়ার জন্য তিনি সরকার প্রধানের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বরেন, ফ্যাসিবাদের সহয়োগী দেশের অধিকাংশ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিচার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনের ও সংবিধানের সংষ্কারসহ ৬ টি স্তরে সংষ্কারের যৌক্তিক সময়ের পর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তিনি দেশে ১১ থেকে ১২ লক্ষ কর্মকর্তাদের অধিকাংশ ফ্যাসিবাদি সরকারের কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের পর দেশ ফ্যাসিবাদি জ্বর মুক্ত হবে বলে দাবি করেন।

মানবজমিন:

কোন পথে অর্থনীতি?
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের বেশির ভাগ সময়ই অর্থনীতির সূচকগুলো ছিল নিম্নমুখী। দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে দু’টি বাদে প্রায় সব সূচকই এখনো নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। এর পরেই রয়েছে রপ্তানি আয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি দুর্বিষহ করে তুলেছে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন। ডলার সংকট, আমদানি কমেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান কমে যাওয়া, আয়বৈষম্য বৃদ্ধি ও দেশ থেকে টাকা পাচারে নড়বড়ে দেশের অর্থনীতি। ব্যাংক খাতের পরিস্থিতিও নাজুক। কিছু ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এসব চিত্র গত সরকার কারসাজির মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য আড়াল করে রেখেছিল। সরকারের শেষ সময়ে অর্থনীতির সূচকগুলোর সার্বিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলমান।

এমন প্রেক্ষাপটে বিগত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে। এখন প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে। বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ, টাকা পাচার এবং ব্যাংক খাতে লুটপাট না হলেও অর্থনীতির স্থবিরতা কাটেনি। শিল্প ও বিনিয়োগেও স্থবিরতা বিরাজমান। তবে ধীরে ধীরে অর্থনীতি স্থিতিশীল হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, খাদের কিনারে থাকা অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।

সমকাল:

সারছে অর্থনীতির ক্ষত, অস্বস্তি বাজারে
আর্থিক খাতের প্রবল সংকট আর সমালোচনার মধ্যেই গণঅভ্যুত্থানে ধসে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে এসে সাধারণ মানুষের জানবার ইচ্ছা, অর্থনীতির অবস্থা এখন কেমন। মানুষ জানতে চায়, সরকার কী করছে, কী করতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর– চারজনই স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ায় আর্থিক খাত নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা একটু বেশি।

হাসিনা সরকারের আমলে বড় বড় দুর্নীতি হয় আর্থিক খাতে। ব্যাংক খাতের ক্ষত ছড়িয়ে পড়ে পুরো অর্থনীতিতে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক খাত ‘মরমর’ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অস্থির ডলার বাজারে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সে এসেছে গতি। রপ্তানিও এখন ইতিবাচক ধারায়। তবে পণ্য বাজারে যে অস্বস্তি ছিল, তা কাটেনি। মানুষ বাজারে গিয়ে দামের চোটে হচ্ছে নাকাল। বাজারের পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিয়েও রয়েছে মানুষের উদ্বেগ। আর উদ্যোক্তারা এখনও নতুন বিনিয়োগে তেমন এগিয়ে আসছেন না। তারা ব্যবসায়িক পরিবেশের বিশেষত আইনশৃঙ্খলার আরও উন্নতি চান। অন্যদিকে, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে রয়েছে এক ধরনের স্থবিরতা।

কালবেলা:

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী এক পাকিস্তান চাইলেও একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না বলে দাবি করেছেন দলটির বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল শুক্রবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে কথা বলেন শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয়, তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। এরপরেও এটা সঠিক যে, জামায়াত চেয়েছিল এক পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন এবং নানা ধরনের অপকর্মের কারণে পুরো জাতি ফুঁসে উঠেছিল, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। তখন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।’ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায়, তখন তাদের নিষিদ্ধের ঘোর পেয়ে বসে। নিষিদ্ধের রাজনীতি আমাদের সমর্থনের বিষয় না। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেটি জনগণই ঠিক করবে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার করবে আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেন না করে এ কথা আমরা বারবার বলেছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

পিয়াস সমন্বয়কারী, অশ্রু ও নুসরাত যুগ্ম সমন্বয়কারী

ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা!

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা!

৫ আগস্টের আগে অনেকেই কোনো কর্মসূচিতে ছিলেন না
ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তদন্ত কমিটি
সদ্য ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২৪২ সদস্যের এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একাধিক নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী এক নারী শিক্ষার্থী।

বিএনপির এই অঙ্গ সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়নি। নতুনদের নিয়ে পকেট কমিটি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। এই কমিটিতে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মাহাদী ইসলাম নিয়ন। তিনি শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদের অনুসারী। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিভিন্ন ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

রাতের পূর্বাচলে ছিনতাই-হত্যারাতের পূর্বাচলে ছিনতাই-হত্যা
এছাড়া বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. বজলুর রহমান বিজয় পেয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়া কাজী শাকিব মিয়া ও সাইফুল ইসলাম রিমন, সদস্য পদ পাওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রায়হান হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

জুলাই-আগস্টে বিচার বহির্ভূত হত্যা ১৫৮১ জন

অধিকারের প্রতিবেদন
-আহত ১৮ হাজারের বেশি
-৫৫০ জনের চোখ নষ্ট
গত জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৫৮১টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ৫৫০ জনের। গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। তারা বলছে, এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন দমনের নামে সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ। হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুম, গ্রেফতার এবং গ্রেফতারের পর নির্যাতন চালানো হয় অসংখ্য আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই আন্দোলনকে বিগত সরকার কঠোর হাতে দমন করার নামে তার সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করার জন্য ব্যবহার করা হয় জাতিসঙ্ঘের নামযুক্ত সাঁজোয়া যানও। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এই সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এতে শিশুসহ ১৫৮১ জন নিহত, ১৮ হাজারের বেশি আহত হন। তাদের মধ্যে ৫৫০ জনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা আরো বেশি।

প্রথম আলো:

খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ গুম
কেউ মারা গেলে অথবা কাউকে হত্যা করা হলে তার লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদেরও ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা সম্পদের উত্তরাধিকার লাভ করেন। তবে গুমের শিকার হলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগী বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, শুধু এই তথ্যটুকু না পাওয়াটা প্রতিমুহূর্তে তাঁদের কুরে কুরে খায়। গুমের এমন ঘটনাগুলো খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ।

গতকাল শুক্রবার এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টিয়ার ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেসের (এএফএডি) অষ্টম কংগ্রেসে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের হোটেল বেঙ্গল ক্যানারি পার্কে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সহযোগিতায় এই কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়। অধিকারের সভাপতি অধ্যাপক সি আর আবরারের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন। গুমের শিকার ব্যক্তির স্বজনেরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যখন গুম হওয়া মানুষগুলোর ছবির দিকে তাকাই, তখন আমি আপনাদের বেদনা বুঝতে পারি। আমরাও তো মানুষ। আপনারা যাঁরা স্বজনদের ছবি নিয়ে এসেছেন, আমি দেখি আর ভাবি, আমার বাচ্চাটা গুম থাকলে আমার কী অবস্থা হবে। আমি যদি গুম হই, আমার স্ত্রীর কী অবস্থা হবে, আমার মায়ের কী অবস্থা হবে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এগুলো চিন্তা করলে মনে হয়, যারা গুমের নির্দেশ দেয়, গুমের চিন্তা করে, আমার মনে হয় তাদের পরিবারগুলোকেও আমরা এমন অনুষ্ঠানগুলোয় নিয়ে আসি। তারা দেখুক, তাদের পিতা, সন্তান বা ভাইয়েরা কী করেছে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ গুম। একটা মানুষ মারা গেলে তো জানা যায়, তার মরদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু এটা কী যে দুঃসহ যন্ত্রণা! একজন মানুষ জানে না যে তার স্বজন কি বেঁচে আছে, নাকি নেই। আমরা গুম হওয়া পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অবশ্যই ভাবব।’

যুগান্তর:

রেন্টালে ‘কুইক’ লুটপাট ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লাখ কোটি টাকা লোপাট
বিদ্যুৎ সংকটকে পুঁজি করে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের একটি সিন্ডিকেট গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় করেছে ৩ লাখ কোটি টাকা। এ সময়ে শুধু রেন্টাল-কুইক-রেন্টালের আড়ালে অস্বাভাবিক দরে বিদ্যুৎ কেনার নামে লুটপাট আর পাচার করা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অলস বসিয়ে রেখে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গুনেছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ। যার পুরোটাই হয়েছে লুটপাট। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর নামে রেন্টাল-কুইক-রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে। ২০১০ সালে বিনা টেন্ডারে দায়মুক্তি আইন বা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে তিন বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। কোনোটি চলছে ১০ বছর, আবার কোনোটি এখনো চলছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

উচ্চ সুদে বিপর্যস্ত ব্যবসা
একসময়ের ঋণের ৯ শতাংশ সুদ এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। দাম বাড়ার পরও চাহিদামতো জ্বালানি মিলছে না। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমেছে – মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি
কয়েক দফায় ঋণের সুদহার বাড়ানোয় ব্যবসাবাণিজ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছে। খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় থমকে গেছে বিনিয়োগ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ঋণের সুদহার বাড়ানো হলেও বাংলাদেশে বাড়ানো হয় শিল্পঋণের। ফলে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পকারখানায় হামলা, ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে অনেক কারখানার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আগস্টের পর নীতিসুদহার বেড়েছে তিনবার, বর্তমানে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ। এর ফলে ঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমে উৎপাদনকারীদের বিক্রিতে ধস নেমে ঋণ পরিশোধে চাপ তৈরি হয়েছে। সুদহার বেড়ে যাওয়ায় এর সরাসরি আঘাত পড়ছে কর্মসংস্থানে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে ‘সংকট’ বাড়ছে। এর ধাক্কা লাগছে কর্মহীন হয়ে পড়া বা উচ্চমূল্যের বাজারে খাপ খাওয়াতে না পারা কম বা সীমিত আয়ের মানুষের ওপর। অথচ মূল্যস্ফীতি কমানোর যে লক্ষ্য নিয়ে রেপো হার বাড়ানো হচ্ছে, সেই মূল্যস্ফীতি এখনো রয়ে গেছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এ ছাড়া সংকুচিত হয়েছে কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা। আগে একজন গ্রাহক ছয়টি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে খেলাপি হতো। গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি কিস্তি পরিশোধ না করলে খেলাপি করার বিধি কার্যকর হয়েছে। এতে আবার আগামী বছরের মার্চ থেকে একটি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেই খেলাপি হবে। এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার লড়াই করছেন ব্যবসায়ীরা।

কালের কন্ঠ:

শিক্ষাঙ্গনে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি
আমাদের দেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। এই খাতে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। নানা ইস্যুতে প্রায়ই আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে তারা সড়কে নামছে।

একাধিকবার সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়েছে। এমনকি শিক্ষা প্রশাসন এখনো ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়নি। ফলে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায়ও তেমন পরিবর্তন আসেনি। এভাবে শিক্ষাঙ্গনের সর্বত্র অস্থিরতা চলছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজনরা বলছেন, আন্দোলনসহ নানা কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষার গুণগত মানে জোর না দিলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে। তাঁদের প্রত্যাশা, সরকার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে শিক্ষার সব ক্ষেত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুলনা ব্যুরো ও বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক ও এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে রাজনৈতিকভাবে কবর দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐকমত্যে পৌছাতে হবে। এখন জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই। গতকাল শুক্রবার বাগেরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাগেরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান ও মাস্টার শফিকুল আলম। সম্মেলনে জেলা নায়েবে আমীর এডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদূদ, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, মো. মিজানুর রহমান মল্লিক, এডভোকেট মুস্তাইন বিল্লাহ, মঞ্জুরুল হক রাহাত, অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, ছাত্রশিবিরের বাগেরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান অতিথি সেক্রেটারি জেনারেল বাগেরহাট জেলার ২০২৫-২৬ সেশনের নবনির্বাচিত জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিমের শপথ বাক্য পাঠ করান।

 

প্রধান অতিথি সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, সমাজ পরিবর্তনের মহান দায়িত্ব নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের ছাত্র-জনতার যে আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, সে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশের বিনির্মাণ দৃঢ রাখার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বর্তমানে জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

উপদেষ্টা পরিষদের নিয়োগের ব্যাপারে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গণআকাক্সক্ষার চাহিদা অনুযায়ী আপনাদের সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই গণআকাঙ্খাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। আলেম- ওলামাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান না দেওয়ার জন্য তিনি সরকার প্রধানের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বরেন, ফ্যাসিবাদের সহয়োগী দেশের অধিকাংশ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিচার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনের ও সংবিধানের সংষ্কারসহ ৬ টি স্তরে সংষ্কারের যৌক্তিক সময়ের পর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তিনি দেশে ১১ থেকে ১২ লক্ষ কর্মকর্তাদের অধিকাংশ ফ্যাসিবাদি সরকারের কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের পর দেশ ফ্যাসিবাদি জ্বর মুক্ত হবে বলে দাবি করেন।

মানবজমিন:

কোন পথে অর্থনীতি?
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের বেশির ভাগ সময়ই অর্থনীতির সূচকগুলো ছিল নিম্নমুখী। দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে দু’টি বাদে প্রায় সব সূচকই এখনো নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। এর পরেই রয়েছে রপ্তানি আয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি দুর্বিষহ করে তুলেছে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন। ডলার সংকট, আমদানি কমেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান কমে যাওয়া, আয়বৈষম্য বৃদ্ধি ও দেশ থেকে টাকা পাচারে নড়বড়ে দেশের অর্থনীতি। ব্যাংক খাতের পরিস্থিতিও নাজুক। কিছু ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এসব চিত্র গত সরকার কারসাজির মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য আড়াল করে রেখেছিল। সরকারের শেষ সময়ে অর্থনীতির সূচকগুলোর সার্বিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলমান।

এমন প্রেক্ষাপটে বিগত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে। এখন প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে। বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ, টাকা পাচার এবং ব্যাংক খাতে লুটপাট না হলেও অর্থনীতির স্থবিরতা কাটেনি। শিল্প ও বিনিয়োগেও স্থবিরতা বিরাজমান। তবে ধীরে ধীরে অর্থনীতি স্থিতিশীল হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, খাদের কিনারে থাকা অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।

সমকাল:

সারছে অর্থনীতির ক্ষত, অস্বস্তি বাজারে
আর্থিক খাতের প্রবল সংকট আর সমালোচনার মধ্যেই গণঅভ্যুত্থানে ধসে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে এসে সাধারণ মানুষের জানবার ইচ্ছা, অর্থনীতির অবস্থা এখন কেমন। মানুষ জানতে চায়, সরকার কী করছে, কী করতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর– চারজনই স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ায় আর্থিক খাত নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা একটু বেশি।

হাসিনা সরকারের আমলে বড় বড় দুর্নীতি হয় আর্থিক খাতে। ব্যাংক খাতের ক্ষত ছড়িয়ে পড়ে পুরো অর্থনীতিতে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক খাত ‘মরমর’ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অস্থির ডলার বাজারে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সে এসেছে গতি। রপ্তানিও এখন ইতিবাচক ধারায়। তবে পণ্য বাজারে যে অস্বস্তি ছিল, তা কাটেনি। মানুষ বাজারে গিয়ে দামের চোটে হচ্ছে নাকাল। বাজারের পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিয়েও রয়েছে মানুষের উদ্বেগ। আর উদ্যোক্তারা এখনও নতুন বিনিয়োগে তেমন এগিয়ে আসছেন না। তারা ব্যবসায়িক পরিবেশের বিশেষত আইনশৃঙ্খলার আরও উন্নতি চান। অন্যদিকে, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে রয়েছে এক ধরনের স্থবিরতা।

কালবেলা:

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না জামায়াত
জামায়াতে ইসলামী এক পাকিস্তান চাইলেও একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না বলে দাবি করেছেন দলটির বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল শুক্রবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে কথা বলেন শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয়, তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। এরপরেও এটা সঠিক যে, জামায়াত চেয়েছিল এক পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন এবং নানা ধরনের অপকর্মের কারণে পুরো জাতি ফুঁসে উঠেছিল, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। তখন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।’ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় যায়, তখন তাদের নিষিদ্ধের ঘোর পেয়ে বসে। নিষিদ্ধের রাজনীতি আমাদের সমর্থনের বিষয় না। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেটি জনগণই ঠিক করবে।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার করবে আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেন না করে এ কথা আমরা বারবার বলেছি।’