দেশে জেঁকে বসতে শুরু করেছে কনকনে শীত। দেশের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীত আসলেই শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়। পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে তাদের কষ্টের কোনো সীমা থাকে না। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২.০০ টায় মাসব্যাপী শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচি’২৪-এর উদ্বোধনকালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ আহ্বান জানান।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মাসব্যাপী (১- ৩১ ডিসেম্বর’২৪) শীতবস্ত্র উপহার প্রদান কর্মসূচি পালন করবে। প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে একটি করে শীতবস্ত্র উপহার দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এ বছর সারা দেশে কয়েক লক্ষ শীতবস্ত্র উপহার পৌঁছানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
আজ এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। গাজীপুরের ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান ও কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দেশের অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে সাধ্যানুযায়ী পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। শুধু তাই নয়, দেশের যেকোনো ক্লান্তিকালে আমরা সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও শীতের উষ্ণতা শিক্ষার্থীসহ শীতার্ত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা করছি। আমরা আশা করি, এই কষ্টের সময়ে বর্তমান সরকার ও দেশের বিত্তবানেরা অসহায় মানুষদের কষ্ট লাঘবে পাশে এসে দাঁড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষের কষ্ট লাঘব করার প্রকৃত দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, বিগত সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার পরিবর্তে নিজেদের দলীয় কর্তাদের পকেট ভারি করেছে। তারা জনগণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশ-বিদেশে বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ করেছে। অথচ জনগণের দুর্ভোগ কমাতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার এ দিকটিতে বিশেষ মনোযোগ দেবে এবং শীতার্ত মানুষের জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”
সর্বশেষে তিনি দেশের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই সবাইকে শীতার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। একযোগে কাজ করলে শীতের কষ্ট লাঘব করা সম্ভব, আর এটি আমাদের সম্মিলিত মানবিকতারই প্রমাণ হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ ও ফাউন্ডেশন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক মুক্তাদির বিল্লাহ, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আনিসুর রহমান, ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান ও গাজীপুর মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।