চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের আন্দোলনের সঙ্গে ইসকনের কেনো ‘সম্পৃক্ততা নেই’ বলে দাবি করেছেন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার জন্য ইসকন বাংলাদেশকে ‘অন্যায়ভাবে দায়ী’ করার ‘অপচেষ্টা’ চলছে।’’
“আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং চলমান আন্দোলনের সঙ্গে ইসকন বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এই মিথ্যাচার এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার মত বিষয়গুলোকেও ইসকনের চক্রান্ত বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে এবং সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করেছি। কিন্তু কিছু বিশেষ মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমদের সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মত অযৌক্তিক দাবি তুলছে।”
ইসকনের সাধারণ সম্পদক বলেন, ‘‘গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিছু মহল তাদের সংগঠনকে ‘বিতর্কিত করতে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ’ তুলে সমাজে ‘অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টা’ করছে। চট্টগ্রামের আইনজীবীর মৃত্যুর পর সে ‘অপচেষ্টা’ চরমে পৌঁছেছে।’’
“সম্প্রতি বংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইসকন বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেপ্রণোদিত অপপ্রচার ছাড়ানোর জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চলছে,” বলেন চারু চন্দ্র দাস।
তিনি বলেন, ‘‘প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে অনেক মাস আগেই ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে’ ইসকনের সাংগঠনিক পদ/পদবীসহ যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে তাদের কার্যক্রম ইসকনের কার্যক্রম নয়।’’
এর আগে গত ৩ অক্টোবর ইসকনের আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র না হওয়ায় তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এর ফলে লীলারাজ গৌর দাস, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বক্তব্য এবং কাজের জন্য ইসকন বাংলাদেশ ‘দায়ী না’।