সচিবালয়ে ৯ দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তাদের কর্মসূচীর প্রেক্ষিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে এ কর্মসূচি পালন করছে তারা।
জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে ৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেই মূলত তারা এ কর্মসূচি পালন করছে। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ে প্রবেশের সব পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জানা যায়, সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব পদে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীদের নির্দিষ্ট হারে পদোন্নতি পাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্তু ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীরা বিগত দিনে সেটা পরিপূর্ণভাবে পাননি।
বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিটির অন্য সদস্যরা এ সমস্যা সমাধানে একমত পোষণ করে একটি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু নাদিরা সুলতানা প্রাথমিক অবস্থায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী ড. নাদিরা সুলতানার স্বাক্ষর আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। তখন নাদিরা জিয়াউরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে একপর্যায়ে জিয়া অজ্ঞান হয়ে যান- এমন অভিযোগ আসে। তারপর জিয়াকে প্রথমে সচিবালয়ের ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত কর্মচারী হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়।
যুগ্ম সচিবের ‘খারাপ আচরণের’ খবর ছড়িয়ে পড়লে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় গিয়ে ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। আজও তারা বিক্ষোভ করেছেন।
কর্মচারীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে এপিডি ওবায়দুর রহমান তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ওই প্রতিবেদনে নাদিরা সুলতানাকে স্বাক্ষরের নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় নাদিরা স্বাক্ষর দেন।