ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিবেদন

৪০ বছর ধরে হাজিদের বিনামূল্যে খাবার বিতরণকারী ‘আবু আল সেবা’মারা গেছেন

দীর্ঘ চার দশক ধরে যিনি হাজিদের মাঝে বিনামূল্যে গরম পানীয় এবং খাবার সরবরাহ করতেন সৌদি আরবের সেই মহান ব্যক্তিটি মারা গেছেন। অতিথিপরায়ণ ব্যক্তিটির নাম শেখ ইসমাইল আল জাইম। তিনি ‘আবু আল সেবা’ নামেও পরিচিত। মৃত্যাকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

নিউজে বলা হয়, শেখ ইসমাইল আল জাইম প্রায় চার দশক ধরে মদিনার পবিত্র স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে আগত হাজিদের জন্য বিনামূল্যে গরম পানীয় এবং খাবার সরবরাহ করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ ইসমাইল আল জাইম ৫০ বছরেরও বেশি আগে নিজ জন্মস্থান সিরিয়ার হামা শহর থেকে মদিনায় চলে আসেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরটির অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

তিনি অতিথিদের জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে কফি, চা এবং রুটি তৈরি করে তা মসজিদে নববীর কাছে বসে বিতরণ করতেন। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খেজুর ও আদাও নিয়ে যেতেন।

অতিথিপরায়ণতায় শেখ ইসমাইল আল জাইমের খ্যাতি দেশের সীমানা অতিক্রম করে সারাবিশ্বময় ছড়িয়ে পরে। আল্লাহর মেহমানদের জন্য তার এই ভালোবাসা মদিনা ও দেশবিদেশ থেকে আগত লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ও স্পর্শ করেছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশেষ প্রতিবেদন

৪০ বছর ধরে হাজিদের বিনামূল্যে খাবার বিতরণকারী ‘আবু আল সেবা’মারা গেছেন

আপডেট সময় ০৪:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

দীর্ঘ চার দশক ধরে যিনি হাজিদের মাঝে বিনামূল্যে গরম পানীয় এবং খাবার সরবরাহ করতেন সৌদি আরবের সেই মহান ব্যক্তিটি মারা গেছেন। অতিথিপরায়ণ ব্যক্তিটির নাম শেখ ইসমাইল আল জাইম। তিনি ‘আবু আল সেবা’ নামেও পরিচিত। মৃত্যাকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

নিউজে বলা হয়, শেখ ইসমাইল আল জাইম প্রায় চার দশক ধরে মদিনার পবিত্র স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে আগত হাজিদের জন্য বিনামূল্যে গরম পানীয় এবং খাবার সরবরাহ করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ ইসমাইল আল জাইম ৫০ বছরেরও বেশি আগে নিজ জন্মস্থান সিরিয়ার হামা শহর থেকে মদিনায় চলে আসেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরটির অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

তিনি অতিথিদের জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে কফি, চা এবং রুটি তৈরি করে তা মসজিদে নববীর কাছে বসে বিতরণ করতেন। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খেজুর ও আদাও নিয়ে যেতেন।

অতিথিপরায়ণতায় শেখ ইসমাইল আল জাইমের খ্যাতি দেশের সীমানা অতিক্রম করে সারাবিশ্বময় ছড়িয়ে পরে। আল্লাহর মেহমানদের জন্য তার এই ভালোবাসা মদিনা ও দেশবিদেশ থেকে আগত লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ও স্পর্শ করেছে।