ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা -২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এখন থেকে ১৫ দিনে বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করবে পিএসসি রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক ম্যানসিটি থেকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন গার্দিওলা শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে , ‘প্রাণের অস্তিত্ব নেই’ টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি যে কারণে হয় মরণ ব্যাধি রোগ ক্যান্সার সিরাজগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ পরিবারকে জামায়াতের নগদ অর্থ সহযোগিতা প্রদান

ইসরায়েলি সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে : যুক্তরাষ্ট্র

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • 25

ইসরায়েলি সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে : যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৫ ইউনিটকে পৃথক ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করলেও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রশাসন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। এসংক্রান্ত সব ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল। ইসরায়েল অভিযুক্ত চারটি ইউনিটের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অর্থ হলো- সব ইউনিট মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য যোগ্য থাকবে। ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক। যারা প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।

কোনো ইসরায়েলি ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, পাঁচটি নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের সংশোধন করেছে, যা আমরা অংশীদাররা আশা করি।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘বাকি একটি ইউনিটের জন্য, আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তারা অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে, কারণ এটি সেই ইউনিটের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযুক্ত পঞ্চম ইউনিট মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ইউনিটটির নাম ‘নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন’। ১৯৯৯ সালে শুধু আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষ সেনাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল এটি।

১৯৯৭ সালে সাবেক মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহির নেতৃত্বে ‘লেহি ল’ আইন করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্কিন সহায়তা পাওয়া কোনো ভিনদেশি সেনা ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকলে ওই ইউনিট সামরিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ হারাবে এই আইনের অধীনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা -২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

ইসরায়েলি সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে : যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০৭:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৫ ইউনিটকে পৃথক ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করলেও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রশাসন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। এসংক্রান্ত সব ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল। ইসরায়েল অভিযুক্ত চারটি ইউনিটের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অর্থ হলো- সব ইউনিট মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য যোগ্য থাকবে। ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক। যারা প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।

কোনো ইসরায়েলি ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, পাঁচটি নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের সংশোধন করেছে, যা আমরা অংশীদাররা আশা করি।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘বাকি একটি ইউনিটের জন্য, আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তারা অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে, কারণ এটি সেই ইউনিটের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযুক্ত পঞ্চম ইউনিট মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ইউনিটটির নাম ‘নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন’। ১৯৯৯ সালে শুধু আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষ সেনাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল এটি।

১৯৯৭ সালে সাবেক মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহির নেতৃত্বে ‘লেহি ল’ আইন করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্কিন সহায়তা পাওয়া কোনো ভিনদেশি সেনা ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকলে ওই ইউনিট সামরিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ হারাবে এই আইনের অধীনে।