ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে ময়দানে কাজ করতে হবে।

আল্লাহর কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে ময়দানে দাওয়াতি কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে ময়দানে দাওয়াতী কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার।

তিনি (১৭ এপ্রিল বুধবার) বরিশাল মহানগরীর গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে আয়োজিত জনশক্তি সমাবেশে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনো একজন ভাইয়ের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েছি। যদি কোন ভাই আমাদের পিছনে দাওয়াতি কাজ না করতেন তাহলে এই দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াত পেতাম না। দাওয়াতি কাজ করার জন্য প্রত্যেক নবী প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, আমাদের নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (স.) নবুয়ত প্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই তার নিকট আত্মীয়দের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করেছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি দাওয়াতী কাজ করার নির্দেশনা আসার পরে তিনি মক্কার লোকদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ শুরু করেন। সেখানে তীব্র অসহযোগিতা পাওয়ার পরে তায়েফে গিয়ে দাওয়াতি কাজ করার চেষ্টা করেন, সেখানেও জুলুমের শিকার হন, তবুও তিনি আশাহত হননি। পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে তায়েফ গিয়ে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে দাওয়াত পৌঁছেছেন।

তিনি আরও বলেন,বরিশাল মহানগরী দক্ষিণ অঞ্চলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ময়দান আধুনিক দাওয়াতি পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিকল্পিতভাবে নিজ নিজ এলাকার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। আমরা কথা বলব হৃদয়ের গহীন থেকে তাহলে মানুষ আমাদের কথা শুনবে। সমাজ থেকে ফিতনা ফাসাদ দূর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পথ চলা অব্যাহত থাকবে। মানুষকে একথা ভালোভাবে বুঝাতে হবে,ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত পুরোপুরি পালন সম্ভব নয়। তাহলে মানুষ ইকামতে দিনের এ পথে চলে আসবে,ইনশাআল্লাহ।

উক্ত প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, সংখ্যার বিচার দিয়ে আন্দোলন পরিচালিত হয় না। জামায়েত ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ৭৫ জন জনশক্তি নিয়ে সেখান থেকে আজ ভারতীয় উপমহাদেশে এ আন্দোলনের কর্মীর সংখ্যা হাজার হাজার। দাওয়াতের এ ময়দানে জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে সুতরাং আমরা কি অবস্থায় আছি সেদিকে না তাকিয়ে হাসিমুখে মানুষের কাছে দাওয়াত উপস্থাপন করতে হবে। রাসূল (স.) এর হাতে মুসলমান হওয়া প্রথম পাঁচ জন ব্যক্তি তার খুবই কাছের মানুষ, আমরা অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে পিছিয়ে আছি। আমরা আমাদের কাছের মানুষদের দাওয়াতি কাজের আওতায় নিয়ে আসিনা,আমরা আমাদের পরিবার,নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী লোকদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করবো। দাওয়াতি চেতনা নিয়ে কাজ না করার কারণে এই উপমহাদেশে ৮০০ বছর মুসলিম রাজত্ব থাকার পরেও এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান নয়।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাসান আতিক,অধ্যাপক মাওঃ হাবিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস :

জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে ময়দানে কাজ করতে হবে।

আল্লাহর কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে ময়দানে দাওয়াতি কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার

আপডেট সময় ১২:০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে ময়দানে দাওয়াতী কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার।

তিনি (১৭ এপ্রিল বুধবার) বরিশাল মহানগরীর গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে আয়োজিত জনশক্তি সমাবেশে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনো একজন ভাইয়ের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েছি। যদি কোন ভাই আমাদের পিছনে দাওয়াতি কাজ না করতেন তাহলে এই দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াত পেতাম না। দাওয়াতি কাজ করার জন্য প্রত্যেক নবী প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, আমাদের নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (স.) নবুয়ত প্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই তার নিকট আত্মীয়দের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করেছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি দাওয়াতী কাজ করার নির্দেশনা আসার পরে তিনি মক্কার লোকদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ শুরু করেন। সেখানে তীব্র অসহযোগিতা পাওয়ার পরে তায়েফে গিয়ে দাওয়াতি কাজ করার চেষ্টা করেন, সেখানেও জুলুমের শিকার হন, তবুও তিনি আশাহত হননি। পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে তায়েফ গিয়ে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে দাওয়াত পৌঁছেছেন।

তিনি আরও বলেন,বরিশাল মহানগরী দক্ষিণ অঞ্চলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ময়দান আধুনিক দাওয়াতি পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিকল্পিতভাবে নিজ নিজ এলাকার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। আমরা কথা বলব হৃদয়ের গহীন থেকে তাহলে মানুষ আমাদের কথা শুনবে। সমাজ থেকে ফিতনা ফাসাদ দূর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পথ চলা অব্যাহত থাকবে। মানুষকে একথা ভালোভাবে বুঝাতে হবে,ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত পুরোপুরি পালন সম্ভব নয়। তাহলে মানুষ ইকামতে দিনের এ পথে চলে আসবে,ইনশাআল্লাহ।

উক্ত প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, সংখ্যার বিচার দিয়ে আন্দোলন পরিচালিত হয় না। জামায়েত ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ৭৫ জন জনশক্তি নিয়ে সেখান থেকে আজ ভারতীয় উপমহাদেশে এ আন্দোলনের কর্মীর সংখ্যা হাজার হাজার। দাওয়াতের এ ময়দানে জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে সুতরাং আমরা কি অবস্থায় আছি সেদিকে না তাকিয়ে হাসিমুখে মানুষের কাছে দাওয়াত উপস্থাপন করতে হবে। রাসূল (স.) এর হাতে মুসলমান হওয়া প্রথম পাঁচ জন ব্যক্তি তার খুবই কাছের মানুষ, আমরা অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে পিছিয়ে আছি। আমরা আমাদের কাছের মানুষদের দাওয়াতি কাজের আওতায় নিয়ে আসিনা,আমরা আমাদের পরিবার,নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী লোকদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করবো। দাওয়াতি চেতনা নিয়ে কাজ না করার কারণে এই উপমহাদেশে ৮০০ বছর মুসলিম রাজত্ব থাকার পরেও এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান নয়।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাসান আতিক,অধ্যাপক মাওঃ হাবিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।