ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দ্রব্যমূল্যে নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  • 28

দ্রব্যমূল্যে নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ঈদের ছুটিতে পাঁচ দিন আমি আমার গ্রামে ছিলাম। মাঠে-ঘাটে চলেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেয়েছি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মতামত জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকা শহরে নয়, গ্রামেও যেভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখেছি৷ রাজনৈতিকভাবে কেউ কিছু বলে থাকলে সেখানে উত্তর না দেওয়াটাই ভালো। উত্তর দেওয়ার কিছু নেই। জনগণই ভালো-মন্দ বলতে পারবে— তারা অস্বস্তিতে আছে নাকি স্বস্তিতে আছে। তবে, আমি সকলের মধ্যেই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ এবং নববর্ষ উদযাপন করতে দেখেছি। এটাই আমার অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয়, উনি রাজনৈতিকভাবে এটা বলেছেন। এটা নিয়ে উত্তর দেয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিলো রমজানে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া, সেটা রমজানের পরেও অব্যাহত থাকবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু রমজান নয়, সারা বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করব। আমদানি-রপ্তানিসহ আমাদের লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। রমজানে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল। সবকিছুর চাহিদা তিন গুণ বেড়ে যায়। এটা আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতা। আপনারা জানেন, আমরা দিল্লি থেকে পেঁয়াজ এনেছি। সেই সাথে আমাদের তেল, চিনিসহ সকল নিত্যপণ্য আমাদের পর্যাপ্ত ছিল। দাম ঊর্ধ্বমুখী নয়, নিম্নমুখী ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ পার হয়ে আসছি।

চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার বিষয়ে কতদূর কী করলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কৃষি মন্ত্রণালয় আরো ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করব। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা; বিশেষ করে, আমদানি করে যেসব জিনিস আনা হয়। আর লোকাল কৃষিপণ্য ও খাদ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে।

আপনি বলেছিলেন পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর করবেন? সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে টিটু বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ইস্যু করেছে। তারপর কী হয়েছে, তাদের সাথে কো-অর্ডিনেশন মিটিং করে বলতে পারব৷ মিটিংটা করার পরই আমি আপনাদের বলতে পারব।

গ্রামে বেগুন ৫ টাকা, সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয়। এ বিষয়ে কী কাজ করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নটির উত্তর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ভালো দিতে পারবে। আমরা যেটা পারি, বাজার ব্যবস্থাপনার যে অংশটুকু আমাদের, বিশেষ করে আমদানি ও পাইকারি বাজার। আপনারা দেখেছেন, রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি, আমরা বারো মাস একই ভাবে কাজ করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

দ্রব্যমূল্যে নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ঈদের ছুটিতে পাঁচ দিন আমি আমার গ্রামে ছিলাম। মাঠে-ঘাটে চলেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেয়েছি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মতামত জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকা শহরে নয়, গ্রামেও যেভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখেছি৷ রাজনৈতিকভাবে কেউ কিছু বলে থাকলে সেখানে উত্তর না দেওয়াটাই ভালো। উত্তর দেওয়ার কিছু নেই। জনগণই ভালো-মন্দ বলতে পারবে— তারা অস্বস্তিতে আছে নাকি স্বস্তিতে আছে। তবে, আমি সকলের মধ্যেই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ এবং নববর্ষ উদযাপন করতে দেখেছি। এটাই আমার অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয়, উনি রাজনৈতিকভাবে এটা বলেছেন। এটা নিয়ে উত্তর দেয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিলো রমজানে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া, সেটা রমজানের পরেও অব্যাহত থাকবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু রমজান নয়, সারা বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করব। আমদানি-রপ্তানিসহ আমাদের লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। রমজানে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল। সবকিছুর চাহিদা তিন গুণ বেড়ে যায়। এটা আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতা। আপনারা জানেন, আমরা দিল্লি থেকে পেঁয়াজ এনেছি। সেই সাথে আমাদের তেল, চিনিসহ সকল নিত্যপণ্য আমাদের পর্যাপ্ত ছিল। দাম ঊর্ধ্বমুখী নয়, নিম্নমুখী ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ পার হয়ে আসছি।

চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার বিষয়ে কতদূর কী করলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কৃষি মন্ত্রণালয় আরো ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করব। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা; বিশেষ করে, আমদানি করে যেসব জিনিস আনা হয়। আর লোকাল কৃষিপণ্য ও খাদ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে।

আপনি বলেছিলেন পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর করবেন? সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে টিটু বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ইস্যু করেছে। তারপর কী হয়েছে, তাদের সাথে কো-অর্ডিনেশন মিটিং করে বলতে পারব৷ মিটিংটা করার পরই আমি আপনাদের বলতে পারব।

গ্রামে বেগুন ৫ টাকা, সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয়। এ বিষয়ে কী কাজ করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নটির উত্তর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ভালো দিতে পারবে। আমরা যেটা পারি, বাজার ব্যবস্থাপনার যে অংশটুকু আমাদের, বিশেষ করে আমদানি ও পাইকারি বাজার। আপনারা দেখেছেন, রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি, আমরা বারো মাস একই ভাবে কাজ করব।