ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিস্তিতে কেনা পিকআপের দাম পরিশোধ চুরির টাকায়

ঢাকার হাজারীবাগ ও কলাবাগান থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্তে অভিনব কৌশলে চুরির সঙ্গে জড়িত দুটি চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, একটি চক্রের মূলহোতা একজন নারী। যিনি কাজের অজুহাতে বাসায় ঢুকে চুরি করতেন। অন্য চক্রটি চুরি করার জন্য কিস্তিতে পিকআপ কিনে সেটি দিয়ে ঘুরে ঘুরে চুরি করত। চুরির টাকায় আবার পরিশোধ করত কিস্তি। এই দুই চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটির মূলহোতা রত্না ওরফে সিলেটি রত্না ও শামীম।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ডিবির রমনা বিভাগ দুটি চুরির মামলা তদন্ত করে অভিনব কৌশলে চুরির অভিযোগে দুটি চোর চক্রের ১২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে চুরির সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কলাবাগান এলাকায় সাবেক একজন জজের বাসায় ঢুকে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে চক্রের মূলহোতা রত্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রত্না ওরফে সিলেটি রত্না নামের এই নারী কাজের কথা বলে বিভিন্ন বাসায় প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে সটকে পড়তেন। একজন সাবেক জজের বাসায় প্রবেশ করে রত্না তিনটি দামি মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যান। এই মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা আরও ১৯টি মোবাইল পেয়েছি। সেগুলো পরবর্তীতে মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগের একটি দোকানে চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে নেমে অপর একটি চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। চক্রটি রাতের আঁধারে পিকআপ দিয়ে ঘুরে ঘুরে চুরি করত।

ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা অন্তত ৫০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ চোর চক্রকে চিহ্নিত করে। চক্রের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় থাকেন। তারা রাতের আঁধারে চুরি করে আবার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে আত্মগোপন করতেন।

এমনকি চুরি করে নেওয়া মালামাল রাখার জন্য তারা গোডাউন ভাড়া করেছিলেন নারায়ণগঞ্জে। আর চুরি করার জন্য কিস্তিতে পিকআপ কিনেছিলেন চক্রের সদস্য শামীম। চুরির টাকার একটি অংশ দিয়ে গাড়ির কিস্তি পরিশোধ করতেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তিতে কেনা পিকআপের দাম পরিশোধ চুরির টাকায়

আপডেট সময় ০১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঢাকার হাজারীবাগ ও কলাবাগান থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্তে অভিনব কৌশলে চুরির সঙ্গে জড়িত দুটি চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, একটি চক্রের মূলহোতা একজন নারী। যিনি কাজের অজুহাতে বাসায় ঢুকে চুরি করতেন। অন্য চক্রটি চুরি করার জন্য কিস্তিতে পিকআপ কিনে সেটি দিয়ে ঘুরে ঘুরে চুরি করত। চুরির টাকায় আবার পরিশোধ করত কিস্তি। এই দুই চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটির মূলহোতা রত্না ওরফে সিলেটি রত্না ও শামীম।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ডিবির রমনা বিভাগ দুটি চুরির মামলা তদন্ত করে অভিনব কৌশলে চুরির অভিযোগে দুটি চোর চক্রের ১২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে চুরির সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কলাবাগান এলাকায় সাবেক একজন জজের বাসায় ঢুকে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে চক্রের মূলহোতা রত্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রত্না ওরফে সিলেটি রত্না নামের এই নারী কাজের কথা বলে বিভিন্ন বাসায় প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে সটকে পড়তেন। একজন সাবেক জজের বাসায় প্রবেশ করে রত্না তিনটি দামি মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যান। এই মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা আরও ১৯টি মোবাইল পেয়েছি। সেগুলো পরবর্তীতে মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগের একটি দোকানে চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে নেমে অপর একটি চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। চক্রটি রাতের আঁধারে পিকআপ দিয়ে ঘুরে ঘুরে চুরি করত।

ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা অন্তত ৫০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ চোর চক্রকে চিহ্নিত করে। চক্রের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় থাকেন। তারা রাতের আঁধারে চুরি করে আবার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে আত্মগোপন করতেন।

এমনকি চুরি করে নেওয়া মালামাল রাখার জন্য তারা গোডাউন ভাড়া করেছিলেন নারায়ণগঞ্জে। আর চুরি করার জন্য কিস্তিতে পিকআপ কিনেছিলেন চক্রের সদস্য শামীম। চুরির টাকার একটি অংশ দিয়ে গাড়ির কিস্তি পরিশোধ করতেন তিনি।