ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ১৫ বছর আমি চাকরের মতো খেটেছি : তথ্যমন্ত্রী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 188

গত ১৫ বছর আমি চাকরের মতো খেটেছি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল, ২০০৮ সালের আগে এই উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ছাড়া আর কোনো রাস্তায় পিচঢালা করা ছিল না, আর এখন রাঙ্গুনিয়ার কোন সড়কটি পিচঢালা কার্পেটিং করা হয়নি সেটি খোঁজ নিতে হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নিজের ইউনিয়ন পদুয়া প্রত্যন্ত জনপদ ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন পদুয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। শিলক খালের ওপর চারটি ব্রিজ হয়েছে।

রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো স্কুল, মাদরাসা, কলেজ নেই যেখানে ভবন হয়নি। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত ১৫টি বছর কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কিংবা কে কোন দল করে, তা কখনো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষের মাইকিং করেছে, এমন ছেলের চাকরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে।

আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি গত ১৫টি বছর চাকরের মতো করে খেটেছি। তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ঈদ, পূজা-পার্বণে ১৫ টাকা দিয়ে চাল, ২০০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি করে চালসহ সাধারণ মানুষের জন্য ১৮ প্রকার ভাতা দিচ্ছে। টিসিবি পণ্য, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদানসহ প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ উপকারভোগী। এসব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাছাই করিনি।

যার প্রয়োজন তাকেই উপকারভোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে ভাতা দেব, বিনামূল্যে বই দেব, বিনামূল্যে চাল দেব, রাস্তা-ঘাট বানাব, মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেব তাহলে আমরা কি ভোটটা পাব না? তথ্যমন্ত্রীর এমন প্রশ্নে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা হাত তুলে সমর্থন জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ইচ্ছে করে মাঝেমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে যাই, সড়কে গর্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য। এখন দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। রাঙ্গুনিয়ার গ্রাম গ্রামান্তরে এখন ৮-১০ তলা বিল্ডিং।

এসব কোনো যাদুর কারণে পরিবর্তন হয়নি। এসব সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। নিজ গ্রামবাসীর উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে ঠেলে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে টেনে তুলে নিয়েছেন। আমি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি দেশের মধ্যে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আবারও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার আবেদন জানাই। আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পদুয়া রাজারহাট হাসপাতাল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ।

 

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের নিরাপত্তায় ২,৫০০ পুলিশ মোতায়েন

গত ১৫ বছর আমি চাকরের মতো খেটেছি : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল, ২০০৮ সালের আগে এই উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ছাড়া আর কোনো রাস্তায় পিচঢালা করা ছিল না, আর এখন রাঙ্গুনিয়ার কোন সড়কটি পিচঢালা কার্পেটিং করা হয়নি সেটি খোঁজ নিতে হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নিজের ইউনিয়ন পদুয়া প্রত্যন্ত জনপদ ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন পদুয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। শিলক খালের ওপর চারটি ব্রিজ হয়েছে।

রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো স্কুল, মাদরাসা, কলেজ নেই যেখানে ভবন হয়নি। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত ১৫টি বছর কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কিংবা কে কোন দল করে, তা কখনো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষের মাইকিং করেছে, এমন ছেলের চাকরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে।

আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি গত ১৫টি বছর চাকরের মতো করে খেটেছি। তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ঈদ, পূজা-পার্বণে ১৫ টাকা দিয়ে চাল, ২০০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি করে চালসহ সাধারণ মানুষের জন্য ১৮ প্রকার ভাতা দিচ্ছে। টিসিবি পণ্য, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদানসহ প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ উপকারভোগী। এসব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাছাই করিনি।

যার প্রয়োজন তাকেই উপকারভোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে ভাতা দেব, বিনামূল্যে বই দেব, বিনামূল্যে চাল দেব, রাস্তা-ঘাট বানাব, মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেব তাহলে আমরা কি ভোটটা পাব না? তথ্যমন্ত্রীর এমন প্রশ্নে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা হাত তুলে সমর্থন জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ইচ্ছে করে মাঝেমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে যাই, সড়কে গর্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য। এখন দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। রাঙ্গুনিয়ার গ্রাম গ্রামান্তরে এখন ৮-১০ তলা বিল্ডিং।

এসব কোনো যাদুর কারণে পরিবর্তন হয়নি। এসব সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। নিজ গ্রামবাসীর উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে ঠেলে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে টেনে তুলে নিয়েছেন। আমি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি দেশের মধ্যে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আবারও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার আবেদন জানাই। আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পদুয়া রাজারহাট হাসপাতাল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ।