আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর
প্রথম আলো:
গচ্ছিত ৭,৩৯৮ ভরি সোনা বেচে দেন আ.লীগ নেতা
● সোনা বিক্রি করার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত থামিয়ে দেন মহিউদ্দিন আহমেদ। ● দুদকের মামলায় এজাহারে ১ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। অভিযোগপত্রে প্রভাব খাটিয়ে নাম বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ● নিজের ৬৩ জন স্বজন ও আত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েছেন ব্যাংকটিতে।
সমবায় ব্যাংকে সোনা জমা বা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের সেই সম্পদ ভুয়া মালিক সাজিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। তাঁর নাম মহিউদ্দিন আহমেদ, যিনি যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নথিপত্র বলছে, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় ২০২০ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ মোট ৭ হাজার ৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করে দেন, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাংকটির ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহক।সোনা বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছিল পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, যাদের অধীনে সমবায় ব্যাংক পরিচালিত হয়। সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সেই তদন্ত প্রভাব খাটিয়ে থামিয়ে দেন মহিউদ্দিন আহমেদ। ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোনা বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় মামলা করে। মামলার এজাহারে ৯ আসামির মধ্যে মহিউদ্দিনের নাম ছিল ১ নম্বরে। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগপত্র থেকে নিজের নামটিও বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মহিউদ্দিন আহমেদ আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সমবায় ব্যাংকে গচ্ছিত সোনা বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় উপদেষ্টা হাসান আরিফের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। গত রোববার কুমিল্লার কোটবাড়ীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে জানলাম, ১২ হাজার ভরি (দুদকের মামলায় ৭ হাজার ৩৯৮ ভরি) সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাঁরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
ভয়াবহ বিপদে ব্যবসায়ীরা
♦ কোম্পানি পরিচালকের অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপের দায়ে বিপদে পড়ছেন বড় বড় শিল্পমালিকরা ♦ সিআইবির বেড়াজালে শিল্প গ্রুপগুলোর ব্যবসাবাণিজ্যে মারাত্মক নেতিবাচক সংকট ♦ ক্রেডিট কার্ডের তুচ্ছ খেলাপিতে যন্ত্রণা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের ♦ প্রায় ৮০ টাকার ডলার ১২০ টাকা হওয়ায় ঋণখেলাপি হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী ♦ অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে দৃষ্টি প্রয়োজন ♦ শিল্পকারখানার সুরক্ষায় সরকারের উদার হওয়া উচিতদেশের ব্যবসাবাণিজ্য ও উৎপাদনশীল খাতের একাধিক কোম্পানি নিয়ে গড়ে ওঠে গ্রুপ অব কোম্পানিজ বা বড় বড় শিল্প গ্রুপ। কোম্পানিগুলোয় থাকেন একাধিক পরিচালক। তবে কোনো কোম্পানি পরিচালক অনিচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপি হলে বিপদে পড়ে পুরো গ্রুপ অব কোম্পানি। এভাবে কোম্পানি পরিচালকের ক্রেডিট তথ্য ব্যুরো বা সিআইবি রিপোর্ট বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবসাবাণিজ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে ভয়াবহ বিপদে পড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ক্রেডিট কার্ডেও তুচ্ছ খেলাপিতেও যন্ত্রণা বাড়ছে। দেশে ৮০ টাকার মার্কিন ডলার ১২০ টাকায় হওয়ায় ঋণখেলাপি হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকে খেলাপি হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পকারখানার সুরক্ষায় সরকারের উদার হওয়া উচিত।
কালের কন্ঠ:
মাদক কারবারিদের মূল টার্গেট শিক্ষার্থীরা
রাজধানীসহ সারা দেশের শহরগুলোর অলিগলি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মাদক। শিক্ষার্থীরা মাদক কারবারিদের মূল টার্গেট। তাদের মধ্যে আর রাখঢাক নেই। ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীরা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে।
অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের ব্যবহার। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থা এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। বলা হচ্ছে, মাদকের চাহিদা ও ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যতটা নজর, ততটা নেই সরবরাহের দিকে। সরবরাহ চলছে প্রায় অবাধে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবারও শুরু হয়েছে মাদকবিরোধী অভিযান। ফলে কিছু মাদক কারবারি ধরাও পড়ছে । সম্প্রতি অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধেও যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশ।
নয়াদিগন্ত:
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরাইলজুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
লেবাননে ইসরাইলের বোমা হামলায় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর পর ইসরাইলের আইডিএফ মুখপাত্র ডেনিয়েল হেগারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সচল আছে। আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম’। ইসরাইলি জনগণকে রক্ষায় যা যা করা দরকার তা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে (জনগণকে) জীবন রক্ষাকারী নির্দেশনা মানতে হবে। আপনাদের নিরাপত্তা জারি করা প্রতিটি নির্দেশের যথাযথ অনুসরণ করতে হবে।
যুগান্তর:
লুটপাটের সহযোগী রউফ
প্রচলিত নীতিমালা শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদত্যাগী গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় লুটপাটের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। নীতিমালাগুলো এমনভাবে শিথিল করা হয়েছিল যাতে লুটপাটকারীরা বিশেষ সুযোগ পান। লুটপাটের কারণে দুর্বল হওয়া ব্যাংকগুলোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে বেপরোয়াভাবে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ডলার না পেয়েও জোগান দেওয়া হয়েছে ছাপানো টাকার। লাগামহীনভাবে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়ায় বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। নিজে উদ্যোগী হয়ে একটি ব্যাংককে দখলদারের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া সুদের হার এবং ডলারের দাম নির্ধারণে ঘনঘন নীতির বদল করে অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিলেন। অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
একজন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ব্যাংক খাতের অভিভাবকের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক হয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, ব্যাংক লুটেরাদের প্রতি গভর্নরের নৈতিক, পলিসিগত ও প্রত্যক্ষ সমর্থন এ খাতে বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যত গভর্নর দায়িত্ব পালন করেছেন, দুজন ছাড়া প্রত্যেকেই পুরো মেয়াদ সম্পন্ন করেছেন। আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনা গোপন রাখার দায়ে তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। আর আব্দুর রউফ তালুকদার হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি। আড়ালে থেকেই পদত্যাগ করেছেন। তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসার সাহস পাননি।
মানবজমিন:
বিএনপি’র সঙ্গে দূরত্ব নেই সংস্কার ও নির্বাচন দু’টিই
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিপ্লবের ফসল। ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই সরকারকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা সকল নাগরিকের কর্তব্য। তারা যে সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন সেটার জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে। তবে সেটি যেন কোনো ভাবেই আনলিমিটেড না হয়। একই সঙ্গে নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। যেন আগামীতে কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে। মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। নিশ্চিত করেন বিএনপি’র সঙ্গে জামায়াতের জোট আর নেই। তবে জাতীয় স্বার্থে তাদের সঙ্গে ঐকমত্য রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও বিএনপি’র সঙ্গে ২০২২ সাল থেকে জোট নেই। সেটি দুই দলের বক্তব্যের মাধ্যমে পরিষ্কার। বিএনপি’র সঙ্গে জামায়াতের কোনো টানাপড়েন নেই। দলটির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। রাজনীতিতে দুইটা দলের দুইটা আদর্শ ও মত থাকবে স্বাভাবিক। পরস্পর সমালোচনার দ্বারা আমরা ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করবো।
জাতীয় স্বার্থের জায়গায় আমাদের কারও দ্বিমত নেই। এ সরকারকে সহযোগিতা করা, যৌক্তিক সময় দিয়ে সফল করা- এসব জায়গায় আমরা সবাই ঐকমত্য।
কালবেলা:
চেতনা বাস্তবায়নের নামে ৩ বছরে ব্যয় ২শ কোটি
গত সাত বছরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অন্তত ১০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ছাড়িয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে এর মধ্যে গত তিন বছরে নানা প্রকল্প দেখিয়ে ১৭৯ কোটি টাকা সরাসরি খরচ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে। শুধু সভা-সেমিনার, স্কুল-কলেজ পরিদর্শন, টিভিসি, চলচ্চিত্র নির্মাণ, পত্রিকা-টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন বাবদ ব্যয় করা হয়েছে এসব টাকা। তবে তথ্য বলছে, নামকাওয়াস্তে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এই টাকা ব্যয়েও নেওয়া হয়েছে চতুরতার আশ্রয়। সাধারণত ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত যে কোনো প্রকল্প মন্ত্রণালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিতে পারে। সেই সুযোগ নিয়েই চারটি প্রকল্পে ভাগ করে এসব টাকা খরচ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে।
তথ্য বলছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত কোনো বিনিয়োগ প্রকল্প হলে সেই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) অনুমোদন নিতে হয় না। এসব প্রকল্প সাধারণত মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী চাইলে এসব প্রকল্প অনুমোদন হয়। তবে ৫০ কোটি টাকার ওপরে প্রকল্প ব্যয় হলে সেই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় একনেকে। তথ্য বলছে, গত চার বছরে ৫০ কোটি টাকার নিচে এমন পাঁচটি প্রকল্প হাতে নেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সব প্রকল্পতেই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে লেখা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন। এসব প্রকল্পের কাজ মন্ত্রী-সচিবের অভিপ্রায় অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হয়।
বানিক বার্তা:
সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৫০ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেপ্টেম্বরে পাঠিয়েছেন মোট ২৪০ কোটি বা ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে কোনো একক মাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল রেমিট্যান্স প্রবাহের এ তথ্য জানানো হয়।
সাধারণত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো উৎসবকে ঘিরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। কিন্তু এবারই প্রথম বড় কোনো উৎসব ছাড়া এত বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০ সালের জুলাইয়ে। করোনাভাইরাস-সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্যে ওই সময় প্রবাসীরা রেকর্ড ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। ওই বছর দেশে ঈদুল আজহার ছুটি ছিল ১ আগস্ট থেকে। তাই জুলাইয়ে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে এ উৎসবটিই বড় ভূমিকা রাখে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে চলতি বছরের জুনে। ওই মাসের মাঝামাঝিতেও ছিল ঈদুল আজহা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের ব্যাংক খাতের ক্ষত বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বেশকিছু ব্যাংক গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আমানতের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেয়ার পর তাই ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংকবিমুখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেমিট্যান্স প্রবাহের চিত্র বলছে প্রবাসীরা সে পথে হাঁটেননি। বরং আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় তারা বেশি আন্তরিকতা দিয়ে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হয়েছেন।
সমকাল:
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র
ইসরায়েলে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হোয়াইট হাউসের সতর্কতা জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেল আবিব ও জেরুজালেমে অন্তত ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কয়েকটি ঠেকাতে সক্ষম হয় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
জেরুজালেম থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শী দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনকে জানান, তিনি দেখেছেন, মাথার ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উপকূলের শহরের দিকে উড়ে যাচ্ছে। নিচ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। তারা দূরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এর আগেও ইসরায়েলে ইরান হামলা চালিয়েছে। তবে এত বড় হামলা এটাই প্রথম।
কার্যত দুই দফায় এ হামলা হয়েছে। প্রথম দফায় একঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ১০ মিনিট পর দ্বিতীয় দফার হামলাটি হয়। পরের দফায় অন্যদিক থেকে হামলা হয়েছে। এ সময় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকালেও সন্ধ্যার আকাশ প্রজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ইরানের হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও লেবাননে হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রেক্ষাপটে এ হামলা চালানো হলো। এ অবস্থায় পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগেরির উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানায়, ইরানের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হেনেছে। তারা পরিস্থিতি দেখছেন। হতাহতের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
দেশ রুপান্তর:
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বা আগামী নির্বাচন কবে হবে, এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হলেও উপদেষ্টা পরিষদ এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু সিদ্ধান্ত নিইনি।’ গত শুক্রবার জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে ভাষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে যেন সক্ষম হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে তার দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথা জানান বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সূত্র ধরে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে এ কথা থেকে কি ধরে নেওয়া যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৮ মাস এই প্রশ্নটি করা হলে জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘সেটা আপনি ইচ্ছা করলে ধরতে পারেন। কিন্তু সরকারের মতামত তো না সেটা। সরকার তো কোনো মত দেয়নি এ পর্যন্ত। কাজেই সরকার কখন মেয়াদ ঠিক করবে, সেটা সরকারকে বলতে হবে। সরকার না বলা পর্যন্ত সেটা তো সরকারের মেয়াদ হচ্ছে না।’বিষয়টি পরিষ্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আরও বলেন, ‘আমাদেরই বলতে হবে। আমাদের মুখ থেকে যখন শুনবেন, তখন সেটাই হবে তারিখ।’