ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি জবরদখল-লুটপাট, আহত ৯

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 94

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ জবরদখল করা হয়েছে। আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিকসহ গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন নারীসহ ৯ জন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজীবপুর থানায় ৩৭ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫২), ফুফাতো ভাই রুস্তম আলী (৬০), স্ত্রী হাওয়া বেগম (৫৫), চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম (৩৫), ছোট বোন আমেনা বেগম (৬০), ভাগিনা আনোয়ার হোসেন (৪৫), সাজেদুল ইসলাম (২৭), ভাই মকবুল হোসেন (৬০) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাছিরন বেওয়া (৪৫)। গতকাল দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কোদালকাটি মৌজার জেএল নম্বর ৩০, এসএ খতিয়ান নম্বর ৩৫৯ ও ১০৫৩ নম্বর দাগে ১৪ একর ৩৬ শতাংশ ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে উত্তর কোদালকাটি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক গংদের সঙ্গে। বিষয়টি একাধিক বার মীমাংসা করার চেষ্টা করেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তা না মেনে জমি জবর দখলের পাঁয়তারা করে আসেন তারা।

এর জের ধরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে দলবদ্ধ হয়ে ধারালো বেকি, ছুরি, শাবল, রাম দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক, শাহাদাৎ হোসেন, ইউননুছ আলী ও শফিকুল ইসলামসহ তাদের লোকজন। এ সময় তার বাড়িতে ট্রাংকের ভেতরে রাখা নগদ ৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া তিনিসহ স্বজনদের ১০টি বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নিয়ে যায় তারা। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় বাধা দেয়ায় তার পরিবারের সদস্য রুস্তম, রফিকুল, আমেনা, আনোয়ার, হাওয়া বেগম ও নাজমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জমিতে জবরদখল করে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল। এ কারণে আমরা ঘর-দরজা ভেঙে দিয়ে জমি দখল করেছি। একই কথা বলেন আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিকও। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজীবপুর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি জবরদখল-লুটপাট, আহত ৯

আপডেট সময় ১২:২৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ জবরদখল করা হয়েছে। আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিকসহ গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন নারীসহ ৯ জন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজীবপুর থানায় ৩৭ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫২), ফুফাতো ভাই রুস্তম আলী (৬০), স্ত্রী হাওয়া বেগম (৫৫), চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম (৩৫), ছোট বোন আমেনা বেগম (৬০), ভাগিনা আনোয়ার হোসেন (৪৫), সাজেদুল ইসলাম (২৭), ভাই মকবুল হোসেন (৬০) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাছিরন বেওয়া (৪৫)। গতকাল দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কোদালকাটি মৌজার জেএল নম্বর ৩০, এসএ খতিয়ান নম্বর ৩৫৯ ও ১০৫৩ নম্বর দাগে ১৪ একর ৩৬ শতাংশ ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে উত্তর কোদালকাটি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক গংদের সঙ্গে। বিষয়টি একাধিক বার মীমাংসা করার চেষ্টা করেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তা না মেনে জমি জবর দখলের পাঁয়তারা করে আসেন তারা।

এর জের ধরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে দলবদ্ধ হয়ে ধারালো বেকি, ছুরি, শাবল, রাম দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক, শাহাদাৎ হোসেন, ইউননুছ আলী ও শফিকুল ইসলামসহ তাদের লোকজন। এ সময় তার বাড়িতে ট্রাংকের ভেতরে রাখা নগদ ৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া তিনিসহ স্বজনদের ১০টি বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নিয়ে যায় তারা। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় বাধা দেয়ায় তার পরিবারের সদস্য রুস্তম, রফিকুল, আমেনা, আনোয়ার, হাওয়া বেগম ও নাজমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জমিতে জবরদখল করে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল। এ কারণে আমরা ঘর-দরজা ভেঙে দিয়ে জমি দখল করেছি। একই কথা বলেন আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিকও। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজীবপুর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।