ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বরিশালে যুবলীগ নেতা ‘হাতকাটা মামুন’কে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের চৌরাস্তা নামক স্থানে প্রতিপক্ষ তাকে কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার মেম্বার মামুন হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদপুর ইউনিয়ন বাকেরগঞ্জের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নদীবেষ্টিত এলাকা। ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আবদুর রহিম প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলেন, মামুন মেম্বার হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে আক্রমণ করে। মামুন দৌড়ে সড়কের পাশে বাগানের মধ্যে ঢুকে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাকে ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। সবগুলো কোপ তার মাথায় লেগেছে। এতে মাথার খুলি বের হয়ে গেছে। হামলকারীরা গুলি করলেও তা মামুন মেম্বারের গায়ে লাগেনি ।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান রাত ৯টায় বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জহিরুল ইসলাম মামুন মেম্বার খুনের তথ্য পেয়েছি। পুলিশ ফোর্স নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

ওসি জানান, জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন এলাকায় ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এলাকায় টানা ৩ বার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে , ‘প্রাণের অস্তিত্ব নেই’

বরিশালে যুবলীগ নেতা ‘হাতকাটা মামুন’কে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ১২:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের চৌরাস্তা নামক স্থানে প্রতিপক্ষ তাকে কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার মেম্বার মামুন হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদপুর ইউনিয়ন বাকেরগঞ্জের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নদীবেষ্টিত এলাকা। ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আবদুর রহিম প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলেন, মামুন মেম্বার হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে আক্রমণ করে। মামুন দৌড়ে সড়কের পাশে বাগানের মধ্যে ঢুকে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাকে ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। সবগুলো কোপ তার মাথায় লেগেছে। এতে মাথার খুলি বের হয়ে গেছে। হামলকারীরা গুলি করলেও তা মামুন মেম্বারের গায়ে লাগেনি ।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান রাত ৯টায় বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জহিরুল ইসলাম মামুন মেম্বার খুনের তথ্য পেয়েছি। পুলিশ ফোর্স নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

ওসি জানান, জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন এলাকায় ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এলাকায় টানা ৩ বার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে।