ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট আমলে নিয়েছে জাতিসংঘ; জাতিসংঘ এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • 148

কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যেনো স্বাধীনভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং মতামত প্রকাশ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জোর তাগিদ পুর্নব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া, বাংলাদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অব্যাহত আক্রমণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ অসম্ভব হয়ে উঠেছে মর্মে
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়টি জাতিসংঘের নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।
বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন একতরফা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে আয়োজন করতে সরকারের নির্দেশে চলমান ধরপাকড় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এভাবেই জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ডোজারিক।
ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা
মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলবাহিনী যেভাবে বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং সমালোচকদের ওপর অব্যাহত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন? ভয়েস অফ আমেরিকার ইংরেজি সার্ভিসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরেকটি কারচুপির নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।”
জবাবে মুখপাত্র ডোজারিক বলেন, “জাতিসংঘ এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা। আমরা আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো ম্যান্ডেট ছাড়া এটা করিনা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার
সংগঠনের রিপোর্টগুলো আমাদের নজরে এসেছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আমরা আবারও আহবান জানাচ্ছি তারা যেনো এটা নিশ্চিত করে যে, জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়। তারা যেনো কোনো প্রকার হয়রানি বা বাঁধার মুখোমুখি না হন।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক রিপোর্টে বলা হয়, যখন সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরে এবং খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে বিরোধীদল, সমালোচক এবং অধিকারকর্মীদের অক্ষম করে দেয়, তখন একটি অবাধ নির্বাচন অসম্ভব।

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে হয় মরণ ব্যাধি রোগ ক্যান্সার

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট আমলে নিয়েছে জাতিসংঘ; জাতিসংঘ এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা

আপডেট সময় ১১:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যেনো স্বাধীনভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং মতামত প্রকাশ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জোর তাগিদ পুর্নব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া, বাংলাদেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অব্যাহত আক্রমণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ অসম্ভব হয়ে উঠেছে মর্মে
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়টি জাতিসংঘের নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।
বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন একতরফা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে আয়োজন করতে সরকারের নির্দেশে চলমান ধরপাকড় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এভাবেই জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ডোজারিক।
ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা
মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলবাহিনী যেভাবে বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং সমালোচকদের ওপর অব্যাহত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন? ভয়েস অফ আমেরিকার ইংরেজি সার্ভিসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরেকটি কারচুপির নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।”
জবাবে মুখপাত্র ডোজারিক বলেন, “জাতিসংঘ এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা। আমরা আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো ম্যান্ডেট ছাড়া এটা করিনা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার
সংগঠনের রিপোর্টগুলো আমাদের নজরে এসেছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আমরা আবারও আহবান জানাচ্ছি তারা যেনো এটা নিশ্চিত করে যে, জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়। তারা যেনো কোনো প্রকার হয়রানি বা বাঁধার মুখোমুখি না হন।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক রিপোর্টে বলা হয়, যখন সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরে এবং খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে বিরোধীদল, সমালোচক এবং অধিকারকর্মীদের অক্ষম করে দেয়, তখন একটি অবাধ নির্বাচন অসম্ভব।