ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে অবরোধের পাশাপাশি দিনব্যাপি হরতাল, চলছে না দূরপাল্লার বাস

রংপুর শহরে বিএনপির ডাকা অবরোধের পাশাপাশি চলছে স্থানীয় বিএনপির ডাকা সকাল–সন্ধ্যার হরতাল। অবরোধের প্রথম দিন রংপুর থেকে আজ বুধবার দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আন্তজেলা বাস চলাচল করলেও যাত্রী কম। তবে শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। দোকানপাট খুলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অবরোধের পাশাপাশি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও রংপুরের পাঁচ নেতা-কর্মীকে জেল-জরিমানার প্রতিবাদে জেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, রংপুর-বগুড়া, রংপুর-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট এবং রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে কিছু বাস চলছে। তবে শহরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সড়কগুলোয় প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যান চলাচল করছে।

দূরের জেলায় যেতে মানুষের ভিড় আছে শহরের মডার্ন মোড়, সাতমাথা ও মেডিকেল মোড়ে। এসব স্থানে অটোরিকশা ও লেগুনার প্রাধান্য বেশি। মানুষ জরুরি প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এসব পরিবহনেই যাচ্ছেন।

রংপুর রেলস্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক শংকর গাঙ্গুলি বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। সকাল সাতটায় নির্দিষ্ট সময়ে পার্বতীপুর থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত লোকাল ট্রেনটি রংপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরের বিরল পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন নির্দিষ্ট সময় সকাল আটটায় রংপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। গাইবান্ধার বোনারপাড়া থেকে পার্বতীপুরগামী রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রংপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে যথাসময়ে।

সকাল ছয়টা থেকে অবরোধের সঙ্গে হরতাল শুরু হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কাউকে কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ হওয়ায় সেখানে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও নেই। সেই সঙ্গে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বিএনপির দলীয় কার্যালয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।

জনপ্রিয় সংবাদ

টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

রংপুরে অবরোধের পাশাপাশি দিনব্যাপি হরতাল, চলছে না দূরপাল্লার বাস

আপডেট সময় ০১:৪৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

রংপুর শহরে বিএনপির ডাকা অবরোধের পাশাপাশি চলছে স্থানীয় বিএনপির ডাকা সকাল–সন্ধ্যার হরতাল। অবরোধের প্রথম দিন রংপুর থেকে আজ বুধবার দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আন্তজেলা বাস চলাচল করলেও যাত্রী কম। তবে শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। দোকানপাট খুলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অবরোধের পাশাপাশি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও রংপুরের পাঁচ নেতা-কর্মীকে জেল-জরিমানার প্রতিবাদে জেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, রংপুর-বগুড়া, রংপুর-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট এবং রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে কিছু বাস চলছে। তবে শহরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সড়কগুলোয় প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যান চলাচল করছে।

দূরের জেলায় যেতে মানুষের ভিড় আছে শহরের মডার্ন মোড়, সাতমাথা ও মেডিকেল মোড়ে। এসব স্থানে অটোরিকশা ও লেগুনার প্রাধান্য বেশি। মানুষ জরুরি প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এসব পরিবহনেই যাচ্ছেন।

রংপুর রেলস্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক শংকর গাঙ্গুলি বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। সকাল সাতটায় নির্দিষ্ট সময়ে পার্বতীপুর থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত লোকাল ট্রেনটি রংপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরের বিরল পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন নির্দিষ্ট সময় সকাল আটটায় রংপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। গাইবান্ধার বোনারপাড়া থেকে পার্বতীপুরগামী রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রংপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে যথাসময়ে।

সকাল ছয়টা থেকে অবরোধের সঙ্গে হরতাল শুরু হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কাউকে কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ হওয়ায় সেখানে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও নেই। সেই সঙ্গে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বিএনপির দলীয় কার্যালয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।