ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে আওয়ামীলীগের হামলা, আহত ২০

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় হরতালের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর পোলের গোড়া নামক স্থানে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ২০ জন ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচজনকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের অনুসারীরা আজিজপুর পোলের গোড়া এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মহাসড়কের প্রায় ১০০ গজ অতিক্রমের পরই কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এসে অতর্কিতে মিছিলে হামলা চালায় একদল লোক। তারা মিছিলকারীদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ছররা গুলিতে মিছিলকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার বেশ কিছু সময় পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তখন মিছিলকারীদের কেউ সেখানে ছিলেন না।

হরতালের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, তাঁরা হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন। মিছিলটি মহাসড়কে ওঠার পর কিছু পথ অতিক্রম করতেই পূর্ব দিক থেকে (সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকা) কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল কর্মী অতর্কিত মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় মিছিল লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জন ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। ছররা গুলিতে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আনোয়ার হোসাইনও রয়েছেন।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিছিলে কোনো ধরনের হামলা কিংবা গুলির কোনো ঘটনা তাঁর জানা নেই। তা ছাড়া যেখানে হামলা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, ওই স্থান তাঁর থেকে অনেক দূরে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন, মিছিলে গন্ডগোলের খবর শুনেছেন ঘটনার অনেক পরে। পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, বিএনপির জয়নুল আবেদিন ফারুকের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে নাকি হামলা হয়েছে। তবে সেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন। আহত কাউকেও পাওয়া যায়নি। এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

নোয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে আওয়ামীলীগের হামলা, আহত ২০

আপডেট সময় ০৭:০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় হরতালের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর পোলের গোড়া নামক স্থানে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ২০ জন ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচজনকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের অনুসারীরা আজিজপুর পোলের গোড়া এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মহাসড়কের প্রায় ১০০ গজ অতিক্রমের পরই কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এসে অতর্কিতে মিছিলে হামলা চালায় একদল লোক। তারা মিছিলকারীদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ছররা গুলিতে মিছিলকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার বেশ কিছু সময় পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তখন মিছিলকারীদের কেউ সেখানে ছিলেন না।

হরতালের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, তাঁরা হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন। মিছিলটি মহাসড়কে ওঠার পর কিছু পথ অতিক্রম করতেই পূর্ব দিক থেকে (সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকা) কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল কর্মী অতর্কিত মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় মিছিল লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জন ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। ছররা গুলিতে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আনোয়ার হোসাইনও রয়েছেন।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিছিলে কোনো ধরনের হামলা কিংবা গুলির কোনো ঘটনা তাঁর জানা নেই। তা ছাড়া যেখানে হামলা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, ওই স্থান তাঁর থেকে অনেক দূরে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন, মিছিলে গন্ডগোলের খবর শুনেছেন ঘটনার অনেক পরে। পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, বিএনপির জয়নুল আবেদিন ফারুকের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে নাকি হামলা হয়েছে। তবে সেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন। আহত কাউকেও পাওয়া যায়নি। এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে।