ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগের নেতারা প্রথম তিনদিনে পালিয়েছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo আমরা মাঠে আছি, নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন: সেনাপ্রধান Logo কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মন্ত্রী মান্নান Logo ৯ অক্টোবর সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরবে জামায়াত ইসলামী Logo বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের নিরাপত্তায় ২,৫০০ পুলিশ মোতায়েন Logo পাবিপ্রবি’র নতুন ছাত্র উপদেষ্টা ড. রাশেদুল হক Logo এই সরকারকে ব্যর্থ করলে ইন্ডিয়া লাভবান হবে: মাহমুদুর রহমান Logo নিলামে উঠছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির শখের গাড়ি Logo সাকিবের জায়গায় নতুন কাউকে ‘স্বাগতম’ জানাতে প্রস্তুত হৃদয় Logo ‘দাম বেশি হওয়ায় মানুষ ইলিশ খেতে পারে না, এটা বড় ধরনের অন্যায়’

হামাসের সুরঙ্গ খুঁজে বের করে হামলা করতে চায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী

হামাসের সুরঙ্গ খুঁজে বের করে হামলা করতে চায় ইসরায়েলী বাহিনী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির ভেতরে ঢুকে পড়ার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য, হামাস যোদ্ধাদের বিশাল সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে হামলা করা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলের কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পস গাজার ভূগর্ভে কয়েক শ কিলোমিটার বিস্তৃত হামাসে সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস যোদ্ধাদের অবকাঠামো, বাঙ্কার, যোগাযোগ ব্যস্থা ধ্বংস করাই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে হামাসের দুটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছ, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকিয়ে দিতে ট্যাংকগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করারও দাবি করেছে হামাস।

হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গাজি হামাদ কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, তারা (ইসরায়েল) বেসামরিক লোকদের হত্যা করা ছাড়া কোনো সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারবে না। গাজা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে এবং আমেরিকা ও ইহুদিদে গলার কাঁটা হয়েই থাকবে।’

এদিকে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষেরাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হামাসের সুরঙ্গে হামলা করলে জিম্মিরা আরও বিপদে পড়বে। কারণ হামাস তাদের জিম্মিদের সুরঙ্গের ভেতরেই রেখেছে। তবে ইসরায়েল সরকার বলেছে, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না। অন্যদিকে হামাস বলছে, গাজায় হামলার সময় তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩১ দিনের যুদ্ধে গাজায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিন্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু নিহত হয়েছে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া হামাসের কাছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল।

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগের নেতারা প্রথম তিনদিনে পালিয়েছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হামাসের সুরঙ্গ খুঁজে বের করে হামলা করতে চায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী

আপডেট সময় ১২:২২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

হামাসের সুরঙ্গ খুঁজে বের করে হামলা করতে চায় ইসরায়েলী বাহিনী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির ভেতরে ঢুকে পড়ার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, তাদের পরবর্তী লক্ষ্য, হামাস যোদ্ধাদের বিশাল সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে হামলা করা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলের কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পস গাজার ভূগর্ভে কয়েক শ কিলোমিটার বিস্তৃত হামাসে সুরঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস যোদ্ধাদের অবকাঠামো, বাঙ্কার, যোগাযোগ ব্যস্থা ধ্বংস করাই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে হামাসের দুটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছ, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকিয়ে দিতে ট্যাংকগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করারও দাবি করেছে হামাস।

হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গাজি হামাদ কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, তারা (ইসরায়েল) বেসামরিক লোকদের হত্যা করা ছাড়া কোনো সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারবে না। গাজা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে এবং আমেরিকা ও ইহুদিদে গলার কাঁটা হয়েই থাকবে।’

এদিকে ইসরায়েলের সাধারণ মানুষেরাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হামাসের সুরঙ্গে হামলা করলে জিম্মিরা আরও বিপদে পড়বে। কারণ হামাস তাদের জিম্মিদের সুরঙ্গের ভেতরেই রেখেছে। তবে ইসরায়েল সরকার বলেছে, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না। অন্যদিকে হামাস বলছে, গাজায় হামলার সময় তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩১ দিনের যুদ্ধে গাজায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিন্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু নিহত হয়েছে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া হামাসের কাছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল।