ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণ হতে শঙ্কা Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়ন ডলার

রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়ন ডলার

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১২১ কোটি ডলার পরিশোধ করায় প্রকৃত রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আকুর এ দায় পরিশোধ করা হয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা ছিল। আর আইএমএফের মতে, দেশের নিট রিজার্ভ আরও কম। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আকুর আওতাধীন ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুই মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করা রিজার্ভ কমেছে। বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। সেই হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন। এখান থেকে আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভের অঙ্ক ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আকুল বিল পরিশোধ হয়েছে। তবে বিল পরিশোধের ভাউচার এখনো হাতে আসেনি। আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানানো হবে।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোকেও রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল এতদিন। এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।

আইএমএফ নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। সেই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে তা ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখতে হবে। তবে সম্প্রতি এসব শর্ত শিথিল করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্টে। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে ওঠে। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন

রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ০৮:৩২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১২১ কোটি ডলার পরিশোধ করায় প্রকৃত রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আকুর এ দায় পরিশোধ করা হয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা ছিল। আর আইএমএফের মতে, দেশের নিট রিজার্ভ আরও কম। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আকুর আওতাধীন ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুই মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করা রিজার্ভ কমেছে। বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। সেই হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন। এখান থেকে আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভের অঙ্ক ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আকুল বিল পরিশোধ হয়েছে। তবে বিল পরিশোধের ভাউচার এখনো হাতে আসেনি। আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানানো হবে।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোকেও রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল এতদিন। এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।

আইএমএফ নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। সেই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে তা ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখতে হবে। তবে সম্প্রতি এসব শর্ত শিথিল করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্টে। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে ওঠে। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।