ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা Logo টানা ৪১ দিন নামাজ আদায়কারী শিশুদের সাইকেল উপহার দিলো জামায়াত Logo ‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’ Logo গোয়াইনঘাটে বাজার দখল নিয়ে আওয়ামী-বিএনপির সংঘর্ষ; আহত ১৫ Logo তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ Logo ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি হয়নি ইরান: ট্রাম্প Logo তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান শ্রমিকনেতাদের

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন এর ব্যানারে মজুরি প্রত্যাখ্যান ও পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। আর আগামী শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

এর আগে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে আজ দুপুরে পোশাক খাতের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় মালিকপক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব করে। পরে নিম্নতম মজুরি বোর্ড সেটিকেই চূড়ান্ত করে।

সচিবালয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার পর সংবাদ সম্মেলন করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে মজুরির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে। শ্রমিকদের মজুরি কাঠামোতে পাঁচটি গ্রেড থাকবে। মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৬৩ শতাংশ। তার মানে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে সাত হাজার ৮৭৫ টাকা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে। আর জানুয়ারির শুরুতে নতুন কাঠামো অনুযায়ী মজুরি পাবেন শ্রমিকেরা।

মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া বোর্ডের সভায় অংশ নেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি সুলতান আহম্মদ এবং নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন।

২০১৩ সালে পোশাক খাতের নিম্নতম মজুরি ৭৬ শতাংশ বাড়িয়ে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করেছিল নিম্নতম মজুরি বোর্ড। এরপর ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি তার চেয়ে প্রায় ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়। তখন ন্যূনতম মজুরি দাঁড়ায় আট হাজার টাকা।

পোশাকশ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য গত এপ্রিলে সরকার নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে। গত ২২ অক্টোবর বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে প্রস্তাব দেন। তার বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রায় অর্ধেক বা ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরি প্রস্তাব দেয়। মালিকপক্ষের এই মজুরি প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা পরদিন আন্দোলনে নামে। প্রথমে গাজীপুরে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা আশুলিয়া–সাভারেও ছড়ায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান শ্রমিকনেতাদের

আপডেট সময় ০৭:১৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিকনেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন এর ব্যানারে মজুরি প্রত্যাখ্যান ও পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। আর আগামী শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

এর আগে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে আজ দুপুরে পোশাক খাতের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় মালিকপক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব করে। পরে নিম্নতম মজুরি বোর্ড সেটিকেই চূড়ান্ত করে।

সচিবালয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার পর সংবাদ সম্মেলন করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মজুরি বোর্ডে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে মজুরির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে। শ্রমিকদের মজুরি কাঠামোতে পাঁচটি গ্রেড থাকবে। মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে ৬৩ শতাংশ। তার মানে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মোট মজুরির মধ্যে মূল বেতন হবে সাত হাজার ৮৭৫ টাকা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে। আর জানুয়ারির শুরুতে নতুন কাঠামো অনুযায়ী মজুরি পাবেন শ্রমিকেরা।

মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া বোর্ডের সভায় অংশ নেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি সুলতান আহম্মদ এবং নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন।

২০১৩ সালে পোশাক খাতের নিম্নতম মজুরি ৭৬ শতাংশ বাড়িয়ে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করেছিল নিম্নতম মজুরি বোর্ড। এরপর ২০১৮ সালে নিম্নতম মজুরি তার চেয়ে প্রায় ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়। তখন ন্যূনতম মজুরি দাঁড়ায় আট হাজার টাকা।

পোশাকশ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য গত এপ্রিলে সরকার নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে। গত ২২ অক্টোবর বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে প্রস্তাব দেন। তার বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রায় অর্ধেক বা ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরি প্রস্তাব দেয়। মালিকপক্ষের এই মজুরি প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকেরা পরদিন আন্দোলনে নামে। প্রথমে গাজীপুরে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা আশুলিয়া–সাভারেও ছড়ায়।