ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান গুতেরেসের

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বোমাবর্ষণ করা গাজা “শিশুদের কবরস্থান” হয়ে উঠছে। গাজায় তেল ঢুকতে দেয়া হবে না ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের জবাবে গুতেরেস বলেন, “জ্বালানি ছাড়া, ইনকিউবেটরে নবজাতক শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবে।

গুতেরেস আবারও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৪,০০০ এরও বেশি শিশুসহ ১০,০২২ জন মারা গেছে। এছাড়াও ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্যও গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেওয়ার বিষয়ে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

“প্রায় এক মাস ধরে, বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে এবং প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যায় হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার প্রধানরাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছে, “৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীসহ অনেক সংখ্যক সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে জাতিসংঘের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।” ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১৩ হাজার  কর্মী নিয়োগ করছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী বেশ কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান গুতেরেসের

আপডেট সময় ০২:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বোমাবর্ষণ করা গাজা “শিশুদের কবরস্থান” হয়ে উঠছে। গাজায় তেল ঢুকতে দেয়া হবে না ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের জবাবে গুতেরেস বলেন, “জ্বালানি ছাড়া, ইনকিউবেটরে নবজাতক শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবে।

গুতেরেস আবারও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৪,০০০ এরও বেশি শিশুসহ ১০,০২২ জন মারা গেছে। এছাড়াও ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্যও গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেওয়ার বিষয়ে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

“প্রায় এক মাস ধরে, বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে এবং প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যায় হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার প্রধানরাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছে, “৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীসহ অনেক সংখ্যক সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে জাতিসংঘের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।” ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১৩ হাজার  কর্মী নিয়োগ করছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী বেশ কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।