ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধিপত্য নিয়ে আ.লীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৬০ Logo ইশরাকের জরুরি সংবাদ সম্মেলন, এবার ব্যানারে নেই ‘মাননীয় মেয়র’ Logo Logo গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও ৩ জনকে ফাঁসি দিল ইরান Logo মাফ চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, লজ্জা নেই। আমার মানবিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্বের জায়গা থেকে মাফ চেয়েছি:ডা. শফিকুর রহমান Logo বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এনসিপি নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ Logo জীবিত ইরানি জেনারেল ঈসমাইল কানি, হত্যার গুজব ভেঙে দিলেন নিজের উপস্থিতিতে Logo ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত Logo ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি Logo চাঁদপুর ছাত্রদলের উদ্যোগে পালাখালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান গুতেরেসের

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বোমাবর্ষণ করা গাজা “শিশুদের কবরস্থান” হয়ে উঠছে। গাজায় তেল ঢুকতে দেয়া হবে না ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের জবাবে গুতেরেস বলেন, “জ্বালানি ছাড়া, ইনকিউবেটরে নবজাতক শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবে।

গুতেরেস আবারও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৪,০০০ এরও বেশি শিশুসহ ১০,০২২ জন মারা গেছে। এছাড়াও ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্যও গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেওয়ার বিষয়ে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

“প্রায় এক মাস ধরে, বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে এবং প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যায় হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার প্রধানরাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছে, “৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীসহ অনেক সংখ্যক সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে জাতিসংঘের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।” ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১৩ হাজার  কর্মী নিয়োগ করছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী বেশ কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।

আধিপত্য নিয়ে আ.লীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৬০

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান গুতেরেসের

আপডেট সময় ০২:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বোমাবর্ষণ করা গাজা “শিশুদের কবরস্থান” হয়ে উঠছে। গাজায় তেল ঢুকতে দেয়া হবে না ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের জবাবে গুতেরেস বলেন, “জ্বালানি ছাড়া, ইনকিউবেটরে নবজাতক শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবে।

গুতেরেস আবারও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৪,০০০ এরও বেশি শিশুসহ ১০,০২২ জন মারা গেছে। এছাড়াও ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্যও গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেওয়ার বিষয়ে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

“প্রায় এক মাস ধরে, বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে এবং প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যায় হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার প্রধানরাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছে, “৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীসহ অনেক সংখ্যক সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে জাতিসংঘের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।” ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১৩ হাজার  কর্মী নিয়োগ করছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী বেশ কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।