ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান গুতেরেসের

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বোমাবর্ষণ করা গাজা “শিশুদের কবরস্থান” হয়ে উঠছে। গাজায় তেল ঢুকতে দেয়া হবে না ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের জবাবে গুতেরেস বলেন, “জ্বালানি ছাড়া, ইনকিউবেটরে নবজাতক শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবে।

গুতেরেস আবারও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৪,০০০ এরও বেশি শিশুসহ ১০,০২২ জন মারা গেছে। এছাড়াও ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্যও গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেওয়ার বিষয়ে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

“প্রায় এক মাস ধরে, বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে এবং প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যায় হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার প্রধানরাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছে, “৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীসহ অনেক সংখ্যক সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে জাতিসংঘের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।” ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১৩ হাজার  কর্মী নিয়োগ করছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী বেশ কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান গুতেরেসের

আপডেট সময় ০২:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ৮৮ জন কর্মী নিহত হওয়ায় গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বোমাবর্ষণ করা গাজা “শিশুদের কবরস্থান” হয়ে উঠছে। গাজায় তেল ঢুকতে দেয়া হবে না ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের জবাবে গুতেরেস বলেন, “জ্বালানি ছাড়া, ইনকিউবেটরে নবজাতক শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাবে।

গুতেরেস আবারও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গোটা বিশ্বের উচিত এই পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৪,০০০ এরও বেশি শিশুসহ ১০,০২২ জন মারা গেছে। এছাড়াও ইসরাইয়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার জন্যও গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের সুরক্ষার দেওয়ার বিষয়ে গঠিত নিউইয়র্ক ভিত্তিক ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’র (সিপিজে) মতে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

“প্রায় এক মাস ধরে, বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি দেখছে এবং প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যায় হতবাক ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাই জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার প্রধানরাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য কর্মী নিহতের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছে, “৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীসহ অনেক সংখ্যক সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে জাতিসংঘের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।” ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ১৩ হাজার  কর্মী নিয়োগ করছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী বেশ কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।