ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাউফলে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo প্রেমের শাস্তি হিসেবে দম্পতিকে গরুর জোয়ালে বেঁধে হালচাষ Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে ইডেনে বিক্ষোভ, ছাত্রদলকে হল ছাড়ার আলটিমেটাম Logo সুন্দরগঞ্জে ভাতিজার চুরি আঘাতে চাচা নিহত, স্ত্রী সন্তান আহত Logo “তারেক রহমান খালি দেশে আসুক! তোগো চামড়া খালাই হালাইয়াম। ইটস্ ওপেন থ্রেট” Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ Logo মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ Logo মৌলভীবাজারে বুলডোজার দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ গুঁড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা Logo মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড ‘পৈশাচিক’: বিএনপি মহাসচিব Logo রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যে কোনো সময়

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের কাছ থেকে যে কোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব মতানৈক্য ছিল সেগুলোতে সবপক্ষ একমতে পৌঁছেছে। এখন চূড়ান্ত ঘোষণার বিস্তারিত প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, কাতারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের আলোচকরা একই ভবনে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হচ্ছে। যার অর্থ যুদ্ধবিরতি যে কোনো মুহূর্তে হবে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটির খসড়া ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে এটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে।

প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যার মধ্যে নারী ইসরায়েলি সেনাও থাকবে। আর একেকজন নারী সেনার জন্য ইসরায়েল ৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। আর একেকজন বেসামরিকের বদলে ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, গাজার ফিলাডেলফি করিডর (গাজা ও মিসর সীমান্ত) থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। এটি কার্যকর হবে চুক্তির প্রথম ধাপের শেষ দিকে।

দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হবে চুক্তি কার্যকরের ১৬তম দিনে। ওই সময়টায় গাজায় জিম্মি থাকা বাকি ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

তৃতীয় ধাপে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে গাজায় হামাসের বিকল্প একটি প্রশাসন তৈরি করা এবং গাজাকে পুনর্গঠন করা।

এছাড়া চুক্তির অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ বাড়িতে ফিরতে দেবে। তবে হামাস বা অন্যান্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী যেন অস্ত্র নিয়ে সেখানে যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাউফলে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যে কোনো সময়

আপডেট সময় ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের কাছ থেকে যে কোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেসব মতানৈক্য ছিল সেগুলোতে সবপক্ষ একমতে পৌঁছেছে। এখন চূড়ান্ত ঘোষণার বিস্তারিত প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, কাতারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের আলোচকরা একই ভবনে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হচ্ছে। যার অর্থ যুদ্ধবিরতি যে কোনো মুহূর্তে হবে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটির খসড়া ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে এটি তিনটি ধাপে কার্যকর হবে।

প্রথম ধাপে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যার মধ্যে নারী ইসরায়েলি সেনাও থাকবে। আর একেকজন নারী সেনার জন্য ইসরায়েল ৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। আর একেকজন বেসামরিকের বদলে ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, গাজার ফিলাডেলফি করিডর (গাজা ও মিসর সীমান্ত) থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। এটি কার্যকর হবে চুক্তির প্রথম ধাপের শেষ দিকে।

দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হবে চুক্তি কার্যকরের ১৬তম দিনে। ওই সময়টায় গাজায় জিম্মি থাকা বাকি ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

তৃতীয় ধাপে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে গাজায় হামাসের বিকল্প একটি প্রশাসন তৈরি করা এবং গাজাকে পুনর্গঠন করা।

এছাড়া চুক্তির অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ বাড়িতে ফিরতে দেবে। তবে হামাস বা অন্যান্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী যেন অস্ত্র নিয়ে সেখানে যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল।