ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪ কর্মসূচিতে না নামায় ভেঙে দেওয়া হলো আ. লীগের ২৭ ইউনিট কমিটি ‘ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ কক্ষ সংস্কারের পর চালু করা হবে শিক্ষা কার্যক্রম’ প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: ওবায়দুল কাদের আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ও আসিফকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী ভিসা বন্ধ নিয়ে কিছুই জানায়নি আমিরাত: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

বিএনপি নেতা আমিনুলের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

পুলিশের পিস্তল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন- ঢাকা মহনগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পল্টন থানার পুলিশের এসআই ইউসুফ। অপরদিকে, তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ পিস্তল, শটগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন মামলা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেক নেতা উপস্থিত হয়ে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।

এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শটগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্য মালামাল নিয়ে যায়।

সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির

বিএনপি নেতা আমিনুলের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০৭:২১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

পুলিশের পিস্তল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন- ঢাকা মহনগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পল্টন থানার পুলিশের এসআই ইউসুফ। অপরদিকে, তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ পিস্তল, শটগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন মামলা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেক নেতা উপস্থিত হয়ে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।

এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শটগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্য মালামাল নিয়ে যায়।