ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অঙ্কনের তৈরি সেই প্লেন বিসিএসআইআরের প্রদর্শনীতে Logo দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দিলো ইসি Logo কাতারে যে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করল ইরান, সেই আল উদেইদ সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে Logo পশ্চিমাদের অনুগত রেজা পাহলবী বলেছেন ইরানে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন একমাত্র সমাধান Logo ইসরায়েলে মিসাইল ছোড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো ইরান Logo সুন্দরগঞ্জে জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করলেন মাজেদুর রহমান মাজেদ Logo জবির ছাত্রী হল’বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর নাম পরিবর্তন Logo ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, দাবি ইসরায়েলের Logo গাজাতেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইসরায়েলের বিরোধী নেতার Logo আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ইসরাইলের, ধন্যবাদ জানিয়েছে ট্রাম্পকে

বিএনপি নেতা আমিনুলের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

পুলিশের পিস্তল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন- ঢাকা মহনগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পল্টন থানার পুলিশের এসআই ইউসুফ। অপরদিকে, তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ পিস্তল, শটগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন মামলা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেক নেতা উপস্থিত হয়ে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।

এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শটগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্য মালামাল নিয়ে যায়।

অঙ্কনের তৈরি সেই প্লেন বিসিএসআইআরের প্রদর্শনীতে

বিএনপি নেতা আমিনুলের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০৭:২১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

পুলিশের পিস্তল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন- ঢাকা মহনগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পল্টন থানার পুলিশের এসআই ইউসুফ। অপরদিকে, তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ পিস্তল, শটগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন মামলা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেক নেতা উপস্থিত হয়ে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।

এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শটগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্য মালামাল নিয়ে যায়।